কক্সবাজার প্রতিনিধি : পর্যটক ও স্থানীয়দের সুবিধার্থে ২০০৫ সালে তৈরি হয় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের এই জেটি। পর্যটনের ভরা মৌসুমে দ্বীপে প্রতিদিনই আসছেন হাজার হাজার পর্যটক। তারা উঠা-নামা করেন এই জেটি দিয়ে। কিন্তু নির্মাণের মাত্র ১০ বছরের মাথায় প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে পন্টুনের তিনপাশ সম্পূর্ণ বিকল হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে মূল জেটির নীচ থেকে নতুন করে ফাটল। এতে পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের এ জেটি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ জেটি মেরামত করা না হলে যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অপর দিকে সংস্কার বা পুননির্মাণ করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। অবশ্য জেলা পরিষদের কর্মকর্তা বলছেন, বিশেষজ্ঞ দল জেটি পরিদর্শন করে গেছেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০০৫ সালে তৈরি হয় প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জেটিটি। পর্যটকের ভরা মৌসুমে এ দ্বীপে প্রতিদিনই ভ্রমণে আসছেন হাজার হাজার পর্যটক। তারা ওঠানামা করেন এ জেটি দিয়েই। কিন্তু নির্মাণের ১০ বছরের মাথায় চলাচলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে জেটিটি। এতে যে কোন মুহূর্তে জেটিটি ধসে পড়ার আশংকা করছেন পর্যটকরা।
দ্রুত সময়ের মধ্যে জেটিটি মেরামত করা না হলে সেন্টমার্টিনে পর্যটক আসা বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানালেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান।

কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলাম জানান, জেটি'র ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ দলের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পর্যটনের এ মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রতিদিন যাতায়াত করছে পর্যটকবাহী ৫টি জাহাজ। আর এতে ৫ থেকে ৮ হাজার পর্যটক আসা যাওয়া করছেন এই দ্বীপে।

(একেডিএইচ/পি/ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫)