মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : যোগযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে লোক নিয়োগের বিষয়টি স্রেফ ভুয়া ও প্রতারণা। সেতু বিভাগ এ ধরনের কোনো লোক নিয়োগ দিচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত করে চলেছে। তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে লোক নিয়োগের নামে অর্থের বিনিময়ে ফরম বিক্রি করছে। আর এ ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে লোকজন।

তিনি বলেন, সেতু প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ, সিমেন্ট, ইট,বালু ও কংক্রিট সাপ্লাইয়ের নামে সাব-কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দেয়ার ফরম বিক্রি করে জনসাধারণকে প্রতারিত করে তাদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ফাঁদে কোনো মতেই পা দেয়া যাবে না।

যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ পেতে যাচ্ছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। সুতরাং কন্ট্রাক্টর কাজে কাকে সাব-কন্ট্রাক্ট দিবে বা কাজে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করবে নাকি অন্য কোথাও থেকে শ্রমিক আনবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সুতরাং মূল কন্ট্রাক্টরের বাইরে কেউ কাজ দিতে চাইলে তা হবে প্রতারণা।

তিনি বলেন, আগামী আগস্ট মাসে মূল পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ দেয়া হবে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে নদী শাসনের কার্যাদেশও দেয়া হবে। ইতোমধ্যে এ কাজের জন্য চারটি কোম্পানি যোগ্যতা লাভ করেছে। তাদেরকে আর্থিক প্রস্তার দিতে বলা হয়েছে। প্রস্তাব পাওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যোগ্য কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়া হবে।

পরে মন্ত্রী কুমারভোগের শিমুলিয়ায় নির্মাণাধীন মাওয়ায় স্থানান্তরিত অস্থায়ী ঘাটের কাজ পরিদর্শন করেন এবং মাওয়া পুরোনো ফেরি ঘাট সংলগ্ন তীর রক্ষা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানান্তরিত মাওয়া অস্থায়ী ঘাটের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ শেষ হতে প্রায় আড়াই মাস সময় লাগবে। বিআইডব্লিউটিএ ঘাট নির্মাণের কাজ করছে। আর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্র্মিত হচ্ছে দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ডেপুটি চিফ কোয়ার্ডিনেটর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথের ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শাহাবুদ্দিন খান, বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী (পুরকৌশল) মজিবুর রহমান সরকার, মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (নদী শাসন) শারফুল ইসালাম, নির্বাহী প্রকৌশলী (সড়ক ও সেতু) সৈয়দ রজব আলী, সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল আহমেদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাবৃন্দ।

(ওএস/এটিআর/মে ২৯, ২০১৪)