মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর কালকিনির ডাসার থানার কাজীবাকাই ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের এক কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিয়েছে দুই বখাটে। এই ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা সালিশ বসিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় মীমাংসার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় ডাসার থানায় মামলা হয়েছে।

পারিবারিক, স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন আগে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার ডাসার থানার কাজীবাকাই ইউনিয়নের দক্ষিণ মাইজপাড়া গ্রামের এক কিশোরীকে (১২) একই গ্রামের বিপুল শীলের ছেলে ঝন্টু শীল (২৫) ও ভেলা শীলের ছেলে নিতাই শীল (২৭) বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে এই ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে পরবর্তীতে কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। পরে ভিডিওটি বখাটেরা বিভিন্ন জনের কাছে ছড়িয়ে দেয়।

এ ঘটনায় রবিবার কাজী বাকাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খোন্দকার সালিশের মাধ্যমে সারে তিন লাখ টাকার মাধ্যমে মিমাংসার চেষ্টা করে। পরে রাতেই এই ঘটনায় ডাসার থানায় মামলা হয়েছে।

এ ঘটনায় সালিশদার নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমাদের কাছে দুইপক্ষ সালিস নিয়ে আসলে আমরা ইউনিয়ন পরিষদের সালিশ বসিয়ে তা মিমাংশা করে দিয়েছি। এটা তো অন্যায় কিছু হয়নি।’

ধর্ষিতার পিতা জানান, আমি গরীব মানুষ মেয়েকে কোথায় বিয়ে দেব। আমি টাকা চাইনা। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। এ ব্যাপারে থানা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করে। পরে এ ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীরা জানলে পুলিশ রবিবার রাতে ভেলা শীলের ছেলে নিতাই শীলকে আসামী করে ডাসার থানায় একটি মামলা নেন।

ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, আমাকে জোর করে ঐ বখাটেরা ধর্ষণ করেছে। আমি এর বিচার চাই।

ডাসার থানা ওসি মো. এমদাদ হোসেন জানান, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় ধর্ষকদের ধারণকৃত ভিডিওর একটি অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।’

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ দিকে সালিশের পর থেকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত নিতাই শীল পলাতক করেছে।

(এএসএ/এএস/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫)