স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনের অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী নূর হোসেনের তথাকথিত বান্ধবী সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নীলাকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহম্মেদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক এ নির্দেশ দেন।

২০১৩ সালে সংঘটিত জুয়েল হত্যা মামলায় গত ২৬ মে সিদ্ধিরগঞ্জের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চাইলেও আদালত তিন দিন মঞ্জুর করেন। আজ তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

কাউন্সিলর নীলা

সাত খুনের ঘটনায় গত ১৮ মে নীলাকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ করে তাকে ছেড়ে দেয় ডিবি পুলিশ।

জান্নাতুল ফেরদৌস নীলা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর। তার বাবা হাজি আবদুল মোতালেব আওয়ামী লীগের একটি ওয়ার্ড কমিটির নেতা।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুঁড়ি এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মস্তকবিহীন দেহ ও পরে মাথা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন ২৭ অক্টোবর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই জিন্নাহ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার উত্তর মাসুদপুর গ্রামের ফিরোজ খান সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এসে লাশটি তার ছেলে জুয়েলের বলে শনাক্ত করেন।
আর জুয়েল হত্যা মামলায় গ্রেফতার চার যুবকের তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

তাদের দুইজন আদালতে জুয়েল হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাউন্সিলর নীলার নাম বলে। কিন্তু নীলা নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সে সময় জুয়েল হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিতে নীলার নাম উঠে এলেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।

আসামিদের দিয়ে নীলাকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করায় মামলার ওই সময়ের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ সুপার বদলি করে দেন।

(ওএস/এটিআর/মে ২৯, ২০১৪)