নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোট কেন্দ্র দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন, জাল ভোট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন।

কালিয়া পৌরসভায় একটি কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুটি পৌরসভায় নির্বাচনী আচরণ লংঘন করায় ৮জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। নড়াইল পৌরসভায় ৮ এবং কালিয়া পৌরসভায় ৭ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে শহরের ভওয়াখালী এলাকার আমজাদ মিয়ার ছেলে মামুন (২৮) বোমায় আহত হয়েয়েছে। বোমায় তার বাম হাতের কয়েকটি আঙ্গুল উড়ে গেছে। সে দুপুর দুইটার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি হলেও তাকে যশোরে স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে কি কারনে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা জায় নি।

নড়াইল পৌরসভা : নড়াইল পৌরসভায় মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দু’প্রার্থী জাল ভোট প্রদান, এজেন্টদের বের করে দেওয়া, নৌকার পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনেছেন। বিকাল তিনটার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সোহরাব হোসেন ৫টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতিকের লোকজনের জাল ভোট প্রদান ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিএনপির প্রার্থী জুলফিকার আলী অভিযোগে জানান, উজিরপুর, ডুমুরতলা, বরাশোলা, নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে নৌকার লোকজন ভোট কেটেছে এবং জাল ভোট পড়েছে।

এদিকে, দুটি ভোট কেন্দ্রের ৬ন পোলিং এজেন্টকে নিজ প্রার্থীর প্রতিক কাছে থাকার দায়ে প্রত্যেককে ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকারিয়্যা। তারা হলেন নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সত্যজিৎ সিংহ ও সাগর এবং নড়াইল ভকেশনাল স্কুল কেন্দ্রে তিন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সাইফুল আলম, জীবন কুন্ডু, হামিদুল ইসলাম ও জুবায়ের।

কালিয়া পৌরসভা : কিছু অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ ও একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ছাড়া কালিয়া পৌরসভার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা ও বিএনপির প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জমান মিলু নির্বাচন বর্জন করেছেন এবং পূনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন।

তারা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এছাড়া ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে পূর্ব কালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালিয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা সেখ আনোয়ার হোসেন। এদিকে, মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রসহ অন্য একটি কেন্দ্র নির্বাচনী আচরন ভঙ্গ করায় দু’জনের প্রত্যেককে ছয়মাসের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদ।

(টিএআর/এএস/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫)