ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি পৌরসভার মধ্যে পীরগঞ্জ ও রাণীশংকৈল পৌরসভায় বেসরকারিভাবে আ’লীগ প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে ভোট গ্রহণ চলাকালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৩টি ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট ও মারামারির ঘটনায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহের সময় যমুনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক ঠাকুরগাঁওয়ের খবরের নির্বাহী সম্পাদক পার্থ সারথী দাসের ক্যামেরা ভাংচুর ও লাঞ্ছিত করে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে স্থগিত ভোট কেন্দ্রগুলো বাদে বাকি ভোট কেন্দ্রের রেজাল্ট ঘোষণার সময় এক পর্যায়ে বিএনপি’র প্রার্থী সাড়ে চার হাজার ভোটে এগিয়ে থাকলে আ’লীগ সমর্থকেরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে ও নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে হট্টগোল শুরু করে।

এ সময় রিটার্নিং অফিসার ফলাফল গনণা সাময়িক বন্ধ রাখে। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাশক কার্যালয় ঘিরে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

পীরগঞ্জ : ঠাকুরগাওয়ের পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কশিরুল আলম নৌকা প্রতিক নিয়ে ৫ হাজার ৭’শ ৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী বিএনপি’র রাজিউর রহমান রাজু (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৫ হাজার ১’শ ১৩ ভোট। মেয়র পদে আরো অপর দুই প্রার্থী মধ্যে জাপার গোলাম হোসেন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪’শ ২৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর কবির জুয়েল (নারিকেল গাছ) পেয়েছেন ২’শ ৩০ ভোট। এছাড়া মহিলা কাউন্সিলর পদে আফরোজা আকতার বানু, খতেজা বেগম ও সেলিনা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে অমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মজিবর রহমান, মাহাবুবুর রশিদ, হাসিনুর রহমান লাল, মোঃ মিলন, আঃ সামাদ, মাহফুজ আলম ও জাফরুল ইসলাম সর্বাধিক ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।

রাণীশংকৈল : ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আলমগীর সরকার নৌকা প্রতিক নিয়ে ৫০৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে জয়লাভ করেছেন।

সারাদেশের ন্যায় রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে ৩০ ডিসেম্বর আ’লীগ প্রার্থী আরমগীর সরকারকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ২০ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী জগ প্রতিক নিয়ে মোকাররম হোসাইন ৩৬১৬ ভোট পান।

অপরদিকে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১নং ওয়ার্ডে মুক্তি রাণী বসাক ১৩২৪ ভোট, ২নং ওয়ার্ডে নাজমা বেগম ১২৪৪ ও মরিয়ম বেগম ১৩১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কাউন্সিলর হিসেবে ওয়ার্ড ক্রমান্বয়ে মাহেদুল, সেফাউল আলম, মোঃ ইসাহাক আলী, মোঃ মোকসেদ, মোঃ মুকুল হোসেন, আবু সাঈদ, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ সাদেকুল ইসলাম ও ওয়াহেদ আলী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।

নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সকল মহল থেকে সন্তষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে।
উপজেলা রিটার্নিং অফিসার খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফর বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেন।

(এফআই/এএস/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫)