লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি :নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে চাঞ্চল্যকর ইয়াসমিন ধর্ষণ মামলার আসামীদের আটক ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং হয়রাণী-মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ইতনা ইউনাইটেড ক্লাব ও পাবলিক লাইব্রেরী চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধর্ষিতার মা নূর জাহান বেগম। এ সময় ধর্ষিতা ইয়াসমিন নাহার উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, লোহাগড়ার ইতনা গ্রামের আমার প্রতিবেশি আক্তার শেখের বখাটে ছেলে বিপুল শেখ (২৫) গত ২২ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে প্রবেশ করে আমার মেয়ে ইয়াসমিন নাহার (২৩)কে মুখ ও হাত বেঁধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে আমি ও আমার ছেলে আনিস শিকদারসহ প্রতিবেশিরা ছুঁটে এসে ধর্ষক বিপুলকে পাকড়াও করা হয়। এ খবর জানাজানি হয়ে গেলে ধর্ষক বিপুলের আত্মীয় ছাত্তার শেখ, ফুল মিয়া শেখ, আক্তার শেখ, টুকু শেখ, ফরিদা বেগম, রিয়াজ শেখ, আজিজুর শেখ, রকি শেখসহ ১০/১২ জন পরস্পর যোগসাজগে ধস্তাধস্তি করে বিপুলকে জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় আমার মেয়ে ইয়াসমিন বাদী হয়ে ধর্ষক বিপুল শেখসহ ৯ জনকে আসামী করে গত ২৪ ডিসেম্বর লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-২৩, তারিখ-২৪/১২/১৫ইং। দায়েরকৃত মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য গ্রামের স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে বিপুলের মা বিপুলকে ‘গুমের’ অভিযোগ এনে নড়াইল আদালতে গত ২০ ডিসেম্বর একটি মিথ্যা ও হয়রানী মূলক মামলা দায়ের করেন। মামলা নং এমপি ১৩১/১৫ইং।

তিনি জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে আরও অভিযোগ করে বলেন, চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ মামলাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আমি, আমার মেয়ে ও ছেলেসহ গ্রামবাসীদের নামে বিপুলের মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে আদালতে মিথ্যা গুমের অভিযোগে হয়রাণী মূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি চাঞ্চল্যকর ইয়াসমিন ধর্ষণ মামলার আসামীদের আটক ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি এবং মিথ্যা-হয়রাণী মূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্তার শিকদার, ইউপি মেম্বর আবুল কালাম আজাদ, শেখ রইচ উদ্দিন পলু, শেখ সরোয়ার হোসেন, ওমর আলী মোল্যা, নবাব আলী শিকদার, সবুর সরদার, সমশেরুল ইসলাম শামু প্রমুখ।

(আরএম/এসসি/ডিসেম্বর৩১,২০১৫)