সামতান রহমান’র কবিতা
ক্রম
-------
জানালা মাথায় নিয়ে ঘুরি
ফুলবৃক্ষ পেলেই পাশে রেখে দেখি,
গ্রিল ধরে উঠে আসে লতানো বোমা
তখন ঘুমিয়ে পড়েছি -
পড়তে পড়তে,
বুকের উপর উত্তর আধুনিক ব্যাকরণ।
দরজা মাথায় নিয়ে ঘুরি
সামনে রেখে ঢুকেই যাই যেকোনো আওয়াজে,
কারখানায়!
নিশিতীর্থ
----------
ডালিম ফুটবে, সুরের মাদক
স্থগিত রেখেছে নির্বাহী ক্ষমতা,
আজ আর সঙ্গীতে যাবেনা কেউ,
নিরন্তর ঘুম ভেঙ্গে শহর-
জেগে আছে শব্দটালে।
তুমি দেখাও সম্ভব,
ডালিমের উপাসকেরা
ঈশ্বরের ফেটে ওঠা নিতে নিশিতীর্থে।
আমার ব্যক্তিগত ডালিমের গাছ নেই,
বাগানের মালিকেরা শব্দ বোঝে না;
কতো কতো গাছেরা শব্দ করে আসে
বধিরের কানে।
ন্যুড
--------------
১.
আকাশের দিকে তাকিয়ে, ঘন ঘন পলক ফেলছে ঋতু
কপালের মেঘভাঁজ রেস খেলে খেলে ডুবে গেলে
রুস্তম থামিয়ে ছবি তুলছে কারা?
২.
বনে বনে গড়ে উঠছে গোপন ল্যাবরেটরি
বৃক্ষের ছাঁট নিচ্ছে লতাগুল্ম!
পাতার মাপ, কাঠের কোয়ালিটি শিখে নিচ্ছে মেকাপ-
৩.
ছোট ছোট খাল ডোবা দিয়ে উঠে আসতো নদী
ধানখেতে পিকনিক করত গেছো বাঘ
এর চেয়ে বড় কোন অনুষ্ঠানে যাইনি কখনও।
সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলাম
----------------------------
নির্জন হেঁটে হেঁটে মিশে যায় ভিড়ে,
বিন্দু থেকে চিনে রাখছি ভূগোলের সীমা
পাহাড়ের ঘুঙুর পড়া পায়।
আচমকা এক তরুন ধ্বজভঙ্গ হয়ে পড়ে গেল
কর্পোরেশনের হোলে!
ভূগোলের কলে তৈরি হচ্ছে পদক্ষেপ,
আগাম আয়োজনে ধর্মান্তরিত স্মৃতি।
শোরগোল এসে সরিয়ে দিলো দীর্ঘ একা---
সবকিছু ছেড়ে গেলে
যা থাকে, আজ তার সাথে দ্যাখা।
ঘোড়া
--------
কোন্ প্রত্যাখ্যানের ভয় দ্যাখাও?
প্রত্যাশা কোনো নুয়ে পড়েও ছুঁতে পারেনি আমায়-
অকারনেই লেংটি উচিয়ে হর্সপাওয়ার মাপো।
তোমাদের সব ভাব ভাণ্ডই সমকামি মনে হয়,
তোমরা কি এক? অনেক এক?
শুনলাম সূর্য, সেও ঘোরে!