আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসীরা হামলা হয়েছে। এ সময় হামলায় দুই সেনা সদস্য ও চারজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার ভোরে পাঞ্জাব প্রদেশের পাঠানকোট জেলার একটি বিমানঘাঁটিতে এ হামলা হয় বলে বিবিসি অনলাইন সংবাদে জানা যায়। পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিমান ঘাঁটিটিতে সামরিক পোশাক পড়ে হামলা চালায় অন্তত ৬ বন্দুকধারী।

হামলার সময় তারা একটি সামরিক যান ব্যবহার করে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, পাঞ্জাব রাজ্যে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। পাঠানকোট বিমান ঘাঁটির ভেতর থেকে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। তাদের মোকাবেলায় সেনাবাহিনীর কমান্ডো এবং হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, অন্তত চারজন বন্দুকধারী এই আক্রমণে অংশ নিয়েছেন। ভারতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, হামলায় ভারত-শাসিত কাশ্মীরের জঙ্গিদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেন, আমাদের বিশ্বাস, তারা জয়েশ-এ-মোহাম্মদ গ্রুপের সন্ত্রাসী। এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ভোর চারটার দিকে সেনাবাহিনীর পোশাকে সন্ত্রাসীরা বিমানঘাঁটির কাছে একটি ভবন থেকে এই হামলা চালায়। স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাত সাড়ে ৩টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোলাগুলি বন্ধ হলেও সমন্বিত অভিযান চলছে বলে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এই হামলার পরে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডকে ডাকা হয়েছে। বিমানঘাঁটির মূল্যবান মিগ ২৯ বিমান ও অন্যান্য হেলিকপ্টারগুলো নিরাপদে আছে বলে জানিয়েছে বিমান বাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে ৫০ জন এনএসজি কমান্ডো লড়াই করছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এই জঙ্গি হামলার নেপথ্যে রয়েছে জইশ এ মোহাম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী। জানা গেছে, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আগেই এমন সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছিল।

ভারত অভিযোগ করে, কাশ্মীর-ভিত্তিক এই সংগঠনকে পাকিস্তান সমর্থন করে। তবে পাকিস্তান অভিযোগ বরারবই প্রত্যাখান করে আসছে। তারা আরো বলেন, ছিনতাই করা পুলিশের একটি গাড়ি এই আক্রমণে ব্যবহার করা হয়েছে, এবং বন্দুকধারীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোশাক পড়া ছিল। এই হামলা হল লাহোরে ভারত এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকের মাত্র কয়েকদিন পরেই। অগাস্ট মাসে পাঞ্জাবের ঘুরুদাসপুরে একটি পুলিশ স্টেশনে সশস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়। প্রায় ১২ ঘণ্টা ঘরে চলা বন্দুকযুদ্ধে তিনজন আক্রমণকারী নিহত হয়।




(ওএস/এস/জানুয়ারি০২,২০১৫)