স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বহু গ্রন্থের প্রণেতা, সমাজ সেবক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক অধ্যাপক ড. এ. বি. এম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী ১৯৯৫ইং সালে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডি আই ইউ) প্রতিষ্ঠা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠাতার উদ্দেশ্য ছিল দরিদ্র, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে সময়োপযোগী শিক্ষাদান। আর এর মাধ্যমে উপযুক্ত মানবসম্পদ সমাজে গড়ে তোলা।

এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ২০০৬ইং সালে চালু করা হয় বি-ফার্ম অনার্স কোর্স। প্রোগ্রামটি ২০০৬ সালে চালু করা হলেও প্রতিষ্ঠাতা তার জীবদ্দশায় প্রোগ্রামটি চালু করার জন্য কারিকুলামসহ সকল প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, অত্র ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগ বেসরকারি বিশ্বব্যিালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫০টি ওযুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা থেকে উৎপাদিত ওযুধ সমূহ দেশের সম্পূর্ণ চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৭০টি দেশে রপ্তানি করছে। ওযুধের উৎপাদন, মাননিয়ন্ত্রন ও বিপণনে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অপরিসীম। দেশের মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্ররা সময়োপযোগী এই শিক্ষার মাধ্যমে ফার্মাসিস্ট হিসাবে তৈরি হয়ে এই পেশা ও শিল্পকে দেশে ও দেশের বাইরে সুনাম অর্জন করতে সহায়তা করছে।

ঢাকা ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ফার্মেসী বিভাগ তেমনি দক্ষ ও উপযুক্ত ফার্মাসিস্ট তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত এবং বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত। ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগে রয়েছে সময়োপযোগী ও অনুমোদিত পাঠ্যক্রম, আধুনিক ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাবরেটরি এবং গ্রন্থাগার। নিজস্ব শিক্ষক ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বরেণ্য ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকরা এই বিভাগে শিক্ষাদানের সাথে জড়িত রয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোমধ্যে সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হওয়া ফার্মাসিস্টরা দেশের বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।

দেশে একমাত্র পেশাগত ডিগ্রি যা অর্জনের সাথে সাথে চাকুরীর নিশ্চয়তা প্রদান করে। সারা বিশ্বে ফার্মাসিস্টদের যথেষ্ট সংকট রয়েছে। ফলে ফার্মাসিস্টরা দেশের বাইরে চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। বর্তমানে আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের ফার্মাসিস্টরা সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশ বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিস্টদের নিয়োগ করতে আগ্রহী।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে আমাদের দেশে ৫০০০ এর অধিক ফার্মাসিস্ট প্রয়োজন রয়েছে। যা পূরণ করতে আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ বৎসর সময় লেগে যাবে। সুতরাং ফার্মেসী পাশের পর এই পেশায় কর্মজীবনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।

এই বিভাগে রয়েছে সুসজ্জিত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ৫টি ল্যাবরেটরি, যেখানে শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক গবেষণা করে থাকে। এই সব গবেষণার ফলাফল, তথ্য-উপাত্ত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সাময়িকীতে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে যা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এই বিভাগে যেমন অভিজ্ঞ, প্রবীণ শিক্ষক মন্ডলী রয়েছেন তেমনি রয়েছে মেধাবী চৌকস নবীন শিক্ষক। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পুরো ক্যাম্পাসটি ওয়াইফাই হওয়ায় ছাত্রছাত্রীরা ইন্টারননেট এর মাধ্যমে ফার্মেসী বিষয়ে বিভিন্ন ধরণের গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে।

এখানকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এতে তারা বেশ সাফল্য অর্জন করছে। অনুষদে একাডেমিক চর্চা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত লেকচার, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম করা হয়। অত্র ইউনিভার্সিটির রয়েছে একটি প্রকাশনা। সেখান থেকে নিয়মিত ষান্মাসিক জার্নালসহ বিভিন্ন বই প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে বুদ্ধিভিত্তিক জ্ঞান চর্চার জন্য বির্তক, উপস্থিত বক্তৃতাসহ বিভিন্ন কর্মশালা ও প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা হয়ে থাকে।
সম্প্রতি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিতার্কিক দল ক্যামব্রিয়ান এটিএন বাংলা পার্লামেন্ট ডিবেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের ইংরেজী ভাষার উপর দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ ইনস্টিটিউট, ঢাকা-এর সাথে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এম.ও.ইউ. স্বাক্ষর হয়েছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি ফাউন্ডেশন (ল্যাংগুয়েজ) কোর্স বাধ্যতামূলক।

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৬৬, গ্রীনরোডে একটি ১২তলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে। ইউনিভার্সিটির এই ক্যাম্পাসে ৫০০ আসন বিশিষ্ট একটি মিলনায়তন রয়েছে। ইউনিভার্সিটির নিয়মিত সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এখানে করা হয়ে থাকে।

ঢাকার বারিধারার কাছাকাছি সাতারকুলে ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে সেখানে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু করা হবে। বর্তমানে বনানী ও গ্রীনরোডে পাচঁটি ভবনে প্রায় দেড় লক্ষ (১৫০০০০) হাজার বর্গফুট অবকাঠামোতে এ ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ও শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া নিকুঞ্জ জোয়ার সাহারায়, সাতারকুলে ছেলেদের এবং গ্রীনরোডে মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব হোস্টেল রয়েছে।

(ওএস/এস/মে ২৯, ২০১৪)