শ্মশান ঠাকুর এর কবিতা
বৈরাগি
প্রতিদিন ভালবাসার নতুন শব্দ খুঁজি
প্রাণের মতো প্রেম ভিখারী হয়ে,
মাধুকরী!
আর কতো পাড়ি দেবো গৃহস্থ বাড়ি।
খাড়া দেয়াল বেয়ে উঠে যায় প্রজাপতি
পিপঁড়ার হাতে;
আহা! চোখ আমার-
কৃষ্ণগহব্বর;
কালান্তর ঢেকে রাখে,
দৃশ্য জমে থাকে অদৃশ্য চর্মকোঠরে।
বইরাগি!
তোর তারে বেজে উঠে পৃথিবীর সুর।
জনগণ
সবচেয়ে নিষ্ঠুরভাবে পিষে দাও আমায়
হয় মরে যাবো অথবা গর্জে উঠবো
জৈবিক কবিতা: ৫৪
নির্বোধ পিতামহ!!
অপরাধকে উন্মুক্ত রেখে
ঘরকে কারাগার বানিয়েছেন;
মুক্তি আর সত্যের চর্চ্চার জন্য।
জৈবিক কবিতা:৩১
ঈশ্বর!
আমাকে অপরাধ করতে দাও
না হয় শেষ বিচারে অচল হয়ে যাবে
কর্মশূন্য হবে নরকের দীর্ঘস্থায়ী কর্মী।
পরাজিত অসহায় মানুষকে জানতে হবে;
ব্যর্থ মানব ছাই আগুনে পুড়িয়ে কি হয়।
জৈবিক কবিতা:৩০
বর্ণে নিচু, জাতে ছোট, শ্রেণিতে গরীব
স্বাস্থ্য ভঙ্গুর, ভবিষ্যত অন্ধকার;
শুধু তার চোখ দুটি
সূর্যের চেয়েও উজ্জ্বল