আমার একজন একজনই আছে

সবুজ ভয় স্ক্রিপ্টে রেখে শহরের পাশ দিয়ে যাচ্ছি
আবেগের ঠিক বাম ঘেঁষে গ্রাম যায়...
একজন পরিযায়ী আলোর চোখে আঙুল তুলে
সে নদীই দেখাচ্ছিলাম...

ভয়, আজ আপনাকে খুব আদর ইচ্ছে করছে
আদর, আজ তোকে খুব আবেগ দেখাচ্ছে
নদী, আজ ক্যানভেসারের কথাবাক্সে ঢুকে যা

অথচ ভয় আদর নদী কাউকেই তুমি লাগছে না

তাহলে অসুখগ্রস্থ আনন্দ, রক্ত নয়
জলটিলা সাজিয়ে পত্তনের খুব উঁচুতে দাঁড়িয়ে
আপনাকেই বলছি,
আমার একজন তুমি আছে
আমার একজন ঘর আছে
আমার একজন সরোদ আছে
আমার একজন তুমুল হেমন্ত আছে


ছাদ ও বন্ধুতা

এরপর তুমি তোমার আকাশহীনতার গর্ব নিয়ে
আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে।

জটলার ভেতর থেকে যে ছেলেটি হুল্লোড় করে যাচ্ছে
হাতের মুঠোয় লুকিয়ে ফেলতে চাইছে আয়নাপঞ্জিকা
একটু পরেই সে ঢুকে যাবে
মাশেলগুরুর কারখানায়
শিখতে শত্রু শত্রু মায়া

আমরা যুদ্ধে যাব কার সাথে? এমন নি:সঙ্গ আনন্দে
ভাইটি আমার ফিরে আসবে গলফ মাঠে
বলবে, ‘কার জন্য দুঃখ করছ, মাতামুহুরির সন্তান?
দিগন্ত নির্মিত তোমার স্বপ্নের প্লেটে কসরত করছে
রক্ত, মধু, মদ, চামচ ও হাতিশালার কয়েকটি আহত পিঁপড়ে’

পাশেই মুর্দা বন্ধুরা গাইবে গান
হারেমশালা থেকে একজন নাচুক শুধু ভাববে,
এমন হাসিখুশি বিকেলে কারও আর্তনাদ থাকবার কথা নয়!


জলপেটপোষ্য

যে কোনো ঘটনাই বসন্তের ঘটনা
শরতে এসে সংবাদ রটায়
ইতিহাসের যে তিমিটা দেখছ,
যাকে আমরা মাছ বলে সমীহ ও সন্দেহ করি।
জলপেটপোষ্য এ বংশধারাটির
বাপ ও মা, ঠাকুমা ও ঠাকুর্দার হ্যাডম আছে
নইলে তোমার চোখের মত মিডিয়ার সামনে এসে
হুটহাট জলভুঁস টেপার সাহস পায় কীভাবে!



(এমআর/এস/জানুয়ারি ০৩,২০১৫)