নাগরী দাঁড় কাক

জানি, এই শীতে তুমি জড়িয়েছো একটার পর একটা ঝরে পড়া পালকের ওম,
পশমী আদর আর কুয়াশার গায়ে লেগে থাকা সবুজের বুকে কমলা রোদ।
আর আমি পরিশুদ্ধ শীত বার্তা হতে খুঁজে পাই ফেলে আসা ওম ছড়ানো অতীত,
অনুর্বর প্রেম।
অতঃপর! শীতের কার্ণিশ বেয়ে ঊঠে যাই আত্মার বেহুলা চরচরে অসাড়তা ছাড়াতে।
ফিনিক্স জনমের প্রতি নিঃশ্বাসে উষ্ণতা কুড়াই হিম
প্রহরে রাত জেগে জেগে....
দ্যাখো শীতের কুয়াশায় কত ঝরে পড়া আর্তনাদ আর মৃতঃ অসমাপ্ত আত্মার
পৃথিবীতে আরও
কিছুটা থাকার আহাজারী আই সি ইউতে বৃদ্ধাতে বয়সের নতজানু সংলাপ।
হিম শীতের ছোপ ছোপ উষ্ণছাপ রতিক্লান্ত রমণীর নাভীমূলে দিয়েছে সঞ্জীবনী
সুখবোধ।
কুয়াশার হিম ঠোঁটে রাত্রির বিলাপে, জেগে থাকে নাগরী দাঁড় কাক এক পা
তুলে অগোছালো নিজ গৃহে। রচে যায় বিলাপের সংলাপ,
রোদ উষ্ণতার অপেক্ষায় এক মুঠো সকাল।


সতেজতার রস আচ্ছাদনে মৃত্তিকায়

উৎপাটিত জীবনের ছন্দে প্রতিনিয়ত
জমা হয় দ্বিধাদন্দের বহিঃপ্রকাশ।
তারপর ঘুম দিয়ে জেগে ওঠে সকাল
একমুঠো রোদ, শর্ষে হাসির মাঝে উপুর হয়ে
বিলাসিতা কাটায় নিমগ্ন মৌনতায়।
সমাজ সংসারের আরিষ্ঠতা তাকে পেয়ে বসেছে,
সে এখন নিষিদ্ধ সংলাপে পাড় করে ধোঁয়াশা সাঁকো।
নির্বাক বাক্যবানে তারপর হয়
জর্জরিত তার পাললিক দেহ।
রূপ রস গন্ধ মেখে একটি
নির্জীব দেহ তারপর নিবে,
বিদায় সাড়ে তিন হাত জায়গা
তাকে জানায় সমাদর।
সাজায় বিছানা পাললিক সুগন্ধি ঢেলে.....
সুঠাম বৃক্ষরাজিগুলো অপেক্ষায় কাতর
উর্বর সতেজতার রস আচ্ছাদনে মৃত্তিকায়।