সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সামান্য বৃষ্টিতে তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদেরকে দায়ী করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

উপজেলা পরিষদের কোনো কোনো অফিসে এখন পানি ছুই ছুই অবস্থা। সদিচ্ছা থাকলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না বলে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন।

তাদের অভিযোগ, পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারের বিশেষ বরাদ্দ লুটপাট করার কারণে উপজেলা চত্বরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যে খাল দিয়ে এই পানি নিস্কাশন করা সম্ভব, বরাদ্দ এলেও সে খাল সংস্কার করা হয়নি। যে কারণে এই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।

তবে তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, পানি নিষ্কাশনের জন্য ইতিমধ্যে খাল সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা চত্বরে পানি উঠে গেছে। আর পাঁচ-ছয় ইঞ্চি পানি জমলে অফিসগুলোতে পানি ঢুকে পড়বে। এ অবস্থায় ভ্যানে-রিকশায় করে অফিসের বারান্দা পর্যন্ত যেতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের।

জানা গেছে, উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম-মহল্লাসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের বৃষ্টির পানি সদর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খাল হয়ে কপোতাক্ষ নদীতে গিয়ে পড়ে। কিন্তু খালটি এবার সংস্কার না করায় পানি বের হতে পারছে না। ফলে গ্রামগুলো থেকে পানি এসে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জমা হচ্ছে। খাল খনন করা না হলে পানি সরতে না পেরে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

বারুইহাটি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আমাদের গ্রাম একটু উচুঁ হওয়ায় এই গ্রামের পানি উপজেলা চত্বরে জমা হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হওয়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। খাল সংস্কারের বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এ গ্রামের বাসিন্দারা।

তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার রাইজিংবিডিকে জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তালা উপজেলা পরিষদ চত্বর এক-দুই দিনের বৃষ্টিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তিনি জানান, উপজেলা চত্বর মাটি দিয়ে ভরাট করে উঁচু করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য কিছু টাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও কিছু টাকা এর সঙ্গে যোগ করা হবে। এ দিয়ে চত্বরটি মাটি ফেলে ভরাট করা হবে।

তালা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান রাইজিংবিডিকে জানান, উপজেলা পরিষদ প্রতিবছর নিমজ্জিত থাকে। তবে এবার কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের আওতায় ২ লাখ ১২ হাজার টাকা বরাদ্ধ এসেছে, যা দিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর মাটি দিয়ে ভরাট করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

(ওএস/এস/মে ২৯, ২০১৪)