রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ভুটভুটি, নছিমন ও করিমন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ বাইপাস লিলি সিনেমা হলের সামনে প্রায় ১০ হাজার ভুটভুটি, নছিমন ও করিমন মালিক-চালক একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেছেন।

সমাবেশ থেকে দাবি মানতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যোগাযোগমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা। আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে নছিমন ও করিমন ঐক্য পরিষদের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে বলে নেতারা হুশিয়ারি দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা নছিমন ও করিমন ঐক্য পরিষদের সভাপতি আকবর আলী লালু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, তানোর ভুটভুটি সমিতির মাস্টার শরিফ আলী, পিয়ারুল ইসলাম ও আবু তালেব প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গ্রামাঞ্চলের বেকার যুবকরা ভুটভুটি চালিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজে পেয়েছেন। দেশের গ্রামাঞ্চল থেকে গরুর গাড়ি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
ভুটভুটি গ্রামের কৃষকদের কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষের এখন ভুটভুটিই একমাত্র ভরসা।

দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। গ্রামের মানুষের উপকারের স্বার্থে ভুটভুটি চালু রাখা প্রশাসনের দায়িত্ব।

বক্তারা আরো বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের এমন উপকারী যানবাহন বন্ধ করতে বাস-ট্রাক মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ পাঁয়তারা শুরু করেছে। তারা অন্যায় অযৌক্তিক ধর্মঘট দিয়ে দেশ ও জনগণকে জিম্মি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।

এ ধরনের নিজ স্বার্থের আন্দোলন পরিহার করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা। অবিলম্বে হাইওয়েতে ভুটভুটি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকারকে আইনি উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।

রাস্তাঘাটে সকল হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ করা, ভুটভুটির আইনি বৈধতাসহ চালকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে লাইন্সেস দেয়ার দাবি জানানো হয়।

এছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকারসহ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এসব যানবাহনকে জাতীয় নীতির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভুটভুটি চালকদের স্মারকলিপি পাওয়ার পর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে প্রয়োজীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এস/মে ২৯, ২০১৪)