শিলা চুমোয়

পিপাসায় যখন বুকটা শুকিয়ে কাঠ- দাঁড়িয়ে আছি
ঘুম বেলার বারান্দায়।
বৈশাখীর ঝড় ভিজিয়ে গেল বাড়ির উঠোন
আমার মনও!

প্রতি মূহুর্তে শিলা চুমো টিনের চালে রেখে যায়
আহত বুকের কম্পন।

ফেরার ইচ্ছে নেই পুরোনো পৃথিবীতে
তবুও কে যেন কড়া নাড়ে
এই পরিত্যাক্ত হৃদয়ে।

হতে চেয়েছি

মহাকাল ভৈরবের শক্তি দুরন্ত ঘোড়া
অন্ধকার ভাঙ্গা প্রমিথিউসের আত্মা!
কৃষকের বুকে অসুখ-
অন্ধ এই সমাজ- ভোগবাদী নির্মম
শুধুই রক্ত পাতের ইতিহাস।

কোন একদিন আবার

অনেক দিন পর আবার দেখা হল-
তোমার চুমুমাখা কাপ আমার ঠোঁটে
যেন ফিরে এলাম ভালবাসাহীন পৃথিবী থেকে।
জানি নিষ্পাপ আবলুক আবেগ পুড়িয়ে
চা তুলে দিচ্ছ প্রতিদিন আমার প্রতিপক্ষরে হাতে!

আর আমি!
যমেনটা দেখছো- যাযাবর হয়ে পথ চলছি
হয়ত আবার দেখা হবে
যেদিন মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হবে
এই চুমুমাখা পেয়ালার স্বাদ।

বসন্তের অতিথি

সেলফোনে সে পাঠাল ফ্রেন্ডরিতোয়েস্ট
কথা বলতে বলতে একদিন কিভাবে যেন
জেনে গেলাম তৈরি হয়েছে আকর্ষণ
হয়তো প্রেম।

মনের কথা বলার পূর্বেই জেনে গেলাম
সে প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে
আমাকে ছেড়ে যাবার...



ফ্রেবুয়ারির প্রভাতে

ফ্রেবুয়ারি- তোমাকে আজও
বর্ণমালারা ধরে রেখেছে শহীদ মিনারে- কবি হৃদয়ে!
প্রভাত ফেরিতে অবশ হয়ে ওঠে দুটি পা
এখনও যেন কাঁধে ত্রিশ লক্ষ শহীদের শবদেহ।
তবুও হেঁটে চলি নতুন সভ্যতা নির্মাণে
একুশের চেতনায় দৃপ্ত পায়ে।