পালানোর রাত

রাতের পাশ দিয়ে তোমার বাড়িপথে
সঙ্গে নদী প্রতিকূল
ফাঁস করে দেওয়ার কুটিলতা নিয়ে
হাসছে সূর্য উল্টো দিকে

ডাহুকির চিৎকার গুছিয়ে নিচ্ছো জীবন
স্মৃতিরা আসছে না ব্যাগে থাকুক
কবিতার জন্যে কিছু ভাঙ্গা গল্প ছড়িয়ে
পথ চলতে হয়
মুখ নয় অনেকগুলো মুখচ্ছবি ভেসে ওঠছে

আমরাও যখন চলতে শিখেছি
তবে কেন বসে থাকা
পদচ্ছাপ কোনদিন ফিরিয়ে নেয় না পা

সূর্য আমাদের ধরতে তৎপর
এটা আন্তর্জাতিক টার্মিনাল পা কাঁপলে চলে যাও


কবির দৃষ্টি

বাঘ যখন ধরে ফেলে হরিণটাকে
আমি বলি যাক না সে বেঁচে
বুড়ো বাঘটা শিকার না পেয়ে হাঁপায়
বলি কৌশলে আবার হোক চেষ্টা

বাঘটা এবার ধরে আনল হরিণ ছানা
আমি কষ্ট পেলাম আরো বেশি
বুড়ো বাঘটা এমনিতে রাতকানা
আবার কয়েকদিনের উপাসি
হরিণ প্রেমিক হয়ে আমি
বাঘকেও ভালোবাসি।


বড় দুঃখের ছোট কবিতা

অসংখ্য অনাহারি
আর লক্ষ টাকার গাড়ি
একই রাস্তায়

কোন কিছুই যায় না পাওয়া
জীবনের মতো
এতো সস্তায়


কবিতা ও আত্মনাশ

কুঁকড়ে যাওয়া কাগজের ভাঁজে
রাখি দুঃখাবলী
সবকিছু ফেলে মহানন্দে
নিজেকে নিয়ে খেলি


অভিজ্ঞতা

আমার এইরকম একটি নগরে
বসবাসের অভিজ্ঞতা
যেখানে অসংখ্য ক্ষুধার্তজন
আর অসংখ্য নিশান লিমুজিন মার্সেডিস
দেখা হয় প্রতিদিন প্রতিরাতে
তারা পরস্পর আঁড়চোখে সতর্কভাবে
রাস্তা পারাপার হয়


বিষণ্ন বর্তমান

বিগতক্ষণ প্রেমে ছিল ভরা
এখন খরা - এখন অভিমান
এখন বন্ধ রবীন্দ্রনাথের গান

এখন শুধু যুদ্ধ
পরিত্যক্ত গৌতম বুদ্ধ
তার হাসি ফ্যাকাঁশে
বোমারু বিমান উড়ছে আকাশে