গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে অভিযান চালিয়ে দুই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের একজনের বাড়ি টাঙ্গাইলের বোয়ালী গ্রামে। অপর জন কুড়িগ্রামের বাগভান্ডার গ্রামে। এসময় পল্লীর প্রভাবশালী বাড়িওয়ালী সুমী আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দালালের মাধ্যমে ওই দুই ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে পতিতাপল্লীতে এনে তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজ চালানো হচ্ছিল।

গোয়ালন্দঘাট থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত দুই কিশোরীর একজন ঢাকা সাভার এলাকার স্বর্ণকলি কিন্ডার গার্টেনের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা সাভারের এক গার্মেন্টকর্মী। গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে ওই ছাত্রী সে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল বেড়াতে যায়। হৃদয় নামের অজ্ঞাত এক যুবক গত ১২ মে সেখান থেকে মেয়েটিয়ে ফুঁসলিয়ে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে আসে। পরে পল্লীর সুমী বাড়িওয়ালীর কাছে মেয়েটিকে বিক্রি করে হৃদয় পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত অপর কিশোরী কুড়িগ্রামের বাগভান্ডার দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বাবা একজন রিক্সাচালক। গত এক মাস আগে শামীম নামের অজ্ঞাত এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েটিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এনে সুমী বাড়িওয়ালীর কাছে বিক্রি করে পালায়। এর পর থেকে ওই বাড়িওয়ালী দুই স্কুলছাত্রীকে দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজ চালিয়ে আসছিল। এমন অবস্থায় গোয়ালন্দঘাট থানাপুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় গোপন সংবাদ পেয়ে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে অভিযান চালায়। এসময় পল্লীর প্রভাবশালী বাড়িওয়ালী সুমী আক্তারের বাড়ি থেকে ওই দুই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট সুমীকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে গোয়ালন্দঘাট থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত সুমী আক্তার পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান, দেহ ব্যবসার কাজে লাগাতে নগদ ৩০ হাজার টাকায় তিনি দালালদের কাছ থেকে ওই দুই মেয়েকে কিনেছিলেন।

গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


(জিএসপি/অ/মে ৩০, ২০১৪)