পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : বছরের প্রথম দিনই সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার কথা থাকলেও পীরগঞ্জ উপজেলার বেশ কটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এখনও নতুন বই পায়নি। শিক্ষার্থীরা নতুন বই নেয়ার জন্য আসলেও বিভিন্ন অজুহাতে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। অযুহাতের অন্যতম দিক হলো‘সেশন’ ফি। মওকা বুঝে তাও আবার ৭০ টাকা থেকে ৫’শ ৭০ টাকা করে। মওকা বুঝে ওই ফি আদায় করছেন অনেকটা পাঠ্যপুস্তক বিতরণকে পুঁজি করে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ভোকেশনাল, এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসার ১ লাখ ১৪ হাজার ৮’শ ৯৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিনামুল্যে গত ১ জানুয়ারী পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়। ওই দিন মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্লাশের সব পাঠ্যপুস্তক দেয়া সম্ভব হয়নি। পর্যায়ক্রমে সবগুলো পাঠ্যপুস্তক দেয়া হচ্ছে। এ সুযোগে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমকে পুঁজি করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কৌশলে ভর্তি ফি, সেশন ফিসহ নানা অযুহাতে ৫০ টাকা থেকে ৫’শ ৭০টাকা পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।


উল্লেখ্য পাঠ্যপুস্তক বিতরনের শুরুতেই স্বল্প সংখ্যক বই শিক্ষার্থী দের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে টাকা জমাদানের রশিদ প্রদর্শণ পূর্বক অবশিষ্ট পাঠ্যপুস্তক গ্রহন করতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারগঞ্জ দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে-৫’শ ৭০টাকা, আব্দুল্যাপুর জান মামুদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫০ টাকা, পীরগঞ্জ আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনী ভেদে-১’শ থেকে ৫’শ টাকা, মাদারগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে-৩’শ ৫০ টাকা, পানবাজার ডি এম উচ্চ বিদ্যালয়, হাতীবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয়, গুর্জ্জিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, আলমপুর উচ্চ বিদ্যালয়, দানিশনগর উচ্চ বিদ্যালয়, শানেরহাট কেজে ইসলাম স্কুল এন্ড কলেজ, টুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, কানঞ্চগাড়ী ছাছমলিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ঢোড়াকান্দর দাখিল মাদ্রাসা, গুর্জ্জিপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, অনন্তরামপুর দাখিল মাদ্রাসা, পত্নীচড়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, চতরা দাখিল মাদ্রাসা, মাদারগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসা, পীরেরহাট রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসাসহ মাধ্যমিক স্তরের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই কমবেশী এ টাকা নেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বই বাবদ কোন টাকা নেয়া হচ্ছেনা। তবে সেশন ফি ও ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহতাব হোসেন জানান, জানুয়ারী মাসে শিক্ষথিীদের কাছ কোন ধরনের ফি না নেয়ার জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পত্র মারফত নিদের্শ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এবিবি/এইচআর/জানুয়ারি ০৫, ২০১৬)