মাদারীপুর প্রতিনিধি : ঢাকার মীরপুর ১৪ নম্বরের একটি ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর লাশ নিয়ে সোমবার গভীর রাতে মাদারীপুরের রাজৈরের নিজ বাড়িতে ফিরলো স্বামী। এই ঘটনায় নিহত গৃহবধুর পরিবার থেকে হত্যার অভিযোগ করেছে।

নিহত গৃহবধুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামের মাজেদ শিকদারের মেয়ে রত্না বেগমের (১৮) সাথে একই গ্রামের সোরহাব শিকদারের ছেলে সোহেল শিকদারের (২৫) প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে বিয়ে হয়।

গত এক বছর ধরে তারা ঢাকা মীরপুর ১৪ নম্বর কাফরুল থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। এর মধ্যে তাদের এক কন্যা সন্তারের জন্ম হয়। সংসার জীবনে প্রথম দিকে ভালো থাকলেও পরবর্তী যৌতুকের টাকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল।

সোমবার গভীর রাতে কাউকে কিছু না বলে কন্যা সন্তানকে বাড়ীওয়ালার কাছে রেখে স্বামী সোহেল শিকদার নিজেই রত্নার লাশ মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা থেকে দেশের বাড়ী মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামে নিয়ে আসে।

এসময় সোহেল জানায়, রত্না গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাই তার লাশ বাড়িতে আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নিহতের বাবা মাজেদ শিকদার বলেন, আমার মেয়ে রত্নার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওর স্বামী সোহেল আমার মেয়েকে হত্যা করে এখন আত্মহত্যা বলছে। আমরা এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএসএ/এইচআর/জানুয়ারি ০৫, ২০১৬)