কে এ মামুন : নতুন বছর শুরু হলেও ২০১৬ সালে হজে গমনেচ্ছুগন অনলাইন নিবন্ধন নিয়ে ধোয়াঁশায় আছেন। হজে গমনের জন্য করনীয় এবং অনলাইন নিবন্ধন সম্পর্কে সঠিক কোন নির্দেশনা বা ঘোষণা না পেয়ে দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন তারা।

পবিত্র হজ্জব্রত পালন করার জন্য আর্থিক সামর্থ্যবান ধর্মপ্রাণ মসুলমানগন নিয়ত করে থাকে। সে মতে তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সরকারী ব্যবস্থাপনা বা বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হজে গমনের জন্য নিবন্ধন করে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে সারা বছরব্যাপি হজে গমনেচ্ছুগন অনলাইন নিবন্ধন করার সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্ত ২০১৬ সাল শুরু হলেও হজেগমনেচ্ছুগন অনলাইন নিবন্ধনের কোন সুযোগ বা নির্দেশনা এখন সাধারণ জনগণ জানতে পারেনি। ফলে এই বছর তারা কিভাবে হজের প্রাক কার্যক্রম শুরু করবেন, তার সঠিক কোন তথ্য পাচ্ছেন না ।

বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় হজ্জযাত্রী পরিবহনকারী এজেন্সিগুলো একই রকম ধোয়াঁশায় আছেন । তারাও হজেগমনেচ্ছুগনদের অনলাইন নিবন্ধন কি ভাবে করবেন এবং কবে থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে, এ নিয়ে কোন তথ্য না জানার কারনে এক প্রকার উৎকণ্ঠায় আছেন। এই উৎকণ্ঠার কারণ ২০১৫ সালে খুব অল্প সময়ে নিবন্ধনের কোঠা পূরণ হয়ে যায়। এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ্জ শাখা থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধন বছরের শুরু থেকে করার চিন্তা করছেন তারা। এ লক্ষ্যে বিরাজমান হজ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনীর উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। আগামী হজ কার্যক্রম শুরুর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে হজ নীতিমালা সংশোধনসহ হজ ব্যবস্থাপনায় কিছু পরিবর্তন আনতে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

নিবন্ধনের সময় হজযাত্রীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, এমআরপি পাসপোর্ট নম্বর ও মোয়াল্লেম ফি জমা দেয়াও বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ দিকে ধর্ম সচিব চৌধুরী মো: বাবুল হাসান সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ ব্যাপারে বলেছিলেন, হজ ও ওমরাহ নীতিমালা পরিবর্তন করে হজযাত্রী নিবন্ধন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। চার মাস ধরে অগ্রিম নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে। এ সময়ে হজে যেতে ইচ্ছুক যে কেউ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। সংশোধিত নীতিমালায় এ বিষয়টি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কমিটির সুপারিশের আলোকে সিদ্ধান্ত নিয়ে হজ নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে এবং সেখানে অনুমোদনের পরই নীতিমালা কার্যকর হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

তবে কবে থেকে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে সে ব্যপারে তিনি কিছু জানাননি। ২০১৫ সালে হজের নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় নতুন নীতিমালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নিবন্ধন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তির ঘটনাও ঘটেছিল গত বছর। কিছু এজেন্সী নামে বেনামে ভূয়া হজ্জযাত্রীদের তথ্য এন্ট্রি দিয়েছিল। ফলে কিছু প্রকৃত হজ্জযাত্রীগণ বঞ্ছিত হইয়েছিল। ২০১৬ সালে হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া কি হবে এ বিষয়ে আশকোনাস্থ হজ্জ অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা কিছু জানাতে পারেননি। এ দিকে সাধারন হজ্জযাত্রীদের দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে সারা বছর ব্যাপি নিবন্ধনের সুযোগ দেয়া হোক। যেন তারা সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে ধীরে সুস্থে হজ্জের নিবন্ধনকরতে পারে। গত বছরের মত যেন কোন রকম অনিশ্চয়তায় না পরতে হয় সে দিকে খেয়াল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেন।

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ০৬, ২০১৬)