এক তার

বাউল তোমার হাতে কী?
জীবন!
আমি তো দেখি বাশ আর কাঠের তৈরি, মাঝে এক তার।
তুমি দেখো তোমার মত।
আমার কাছে এটাই শত।
সুখ, আনন্দ, দুঃখ আর গর্বের আধার।
পরতে পরতে গাথা, আমার জীবন কাঠি।

আকাশের ঐ রঙধনুর মত এতে সাজানো রঙ।
বাতাসের ঐ অস্পষ্ট শব্দের সপ্তক।
মাঝির গুণের মত ভাটিতেও যে টানে।
টোকায়, টোকায় মাতায় গানে, মাতে প্রাণে।
সুখ-দুঃখের পাবে যে পরখ।
নাড়বে মাথা, দোলাবে পা, বেরোবে হাজারো ঢং।

দেখেছো কখনো কী বহিতে রক্ত শরীরে।
অগোচরে চলে শিরায়, উপশিরায়।
সুন্দর ধারায় চলে রেখে মিল, অমিল।
একতারার ঐ তার টা ও যে রক্তেরই শামিল।
তোলে সূরর, ছন্দের রূপ দেখায়।
স্থান কাল সব কিছু ভুলে পাত্রে অপাত্রে।

আমার হাতে জড়ানো যে জীবন।
জড়িয়ে সকল অভিব্যাক্তি।
স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন এসে খেলে যায়।
উজান ভাটির তরঙ্গে দিয়ে যে সায়।
শত কষ্টের পরেও এই ই যে শক্তি।
ছোট্ট ঐ তার ছিড়ে গেলে, এসে যে যাবে মরণ।