যশোর প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদ ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের ৪ নেতার তিন খুনির মধ্যে দুই জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কুর্শা গ্রামের উম্মত মণ্ডলের ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং একই উপজেলার রাজনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে সাফায়েত হোসেন হাবিব।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে এ দুই আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাত পৌনে ১২টায় রাশেদুল ইসলাম ঝন্টুর ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে খুনি রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু ও আনোয়ারের পরিবার শেষ সাক্ষাৎ করতে তাদের স্বজনরা কারাগারে আসেন। ঝন্টুর সঙ্গে দেখা করেন তার ভাগ্নে খাইরুল ইসালাম, চাচাতো ভাই আবুল কাশেম। আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন তার ভাগ্নে সোহেল। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাবিবের সঙ্গে কেউ দেখা করেননি। কিন্তু হাবিবের লাশ নিতে তার ভাই হাসিবুর রহমান আসবেন বলে কারাগার সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

তাদের লাশ শুক্রবার সকাল সাতটায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হস্তান্তর করা হবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, দেরিতে হলেও দোষীদের সাজা কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন জাসদের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও যশোর জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম। কারাগারের নিরাপত্তার জন্য সন্ধ্যার পর থেকেই গোটা এলাকায় পুলিশ ও র্যােবের পাহারা বাড়ানো হয়।

(ওএস/পি/জানুয়ারি ০৭, ২০১৬)