বান্দরবান প্রতিনিধি : বিজিবির ওপর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিবর্ষণের পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। সীমান্তের তুমব্র, ঘুনধুম, আশারতলি এলাকায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে অবস্থান নিয়েছে।

এতে সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোছড়ি সীমান্তে বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করেছে। সেনাবাহিনীর ইনফ্রেন্টরি ব্রিগেডের একটি দল এখন নাইক্ষ্যংছড়িতে অবস্থান করছে। অন্যদিকে আলীকদম সীমান্তেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন।

দোছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ আহম্মদ জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের লাশ ফেরত দেয়া হতে পারে এ ধরনের একটি সংবাদের পর দোছড়ি সীমান্তের পাইনছড়িতে বিজিবি কর্মকর্তারা অবস্থান নেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিজিবি মিয়ানমারের বিজিপিকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রণ জানালেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

নিখোঁজ বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানকে ফেরত দেয়া হবে কিনা এ বিষয়েও স্পষ্ট করে কেউ কিছু জানাতে পারেননি।

নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্র সীমান্তের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ সকাল থেকে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপি সদস্যরা ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। এতে করে ওই এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিজিবি সাধারণ লোকদের সীমান্তে যেতে বাধা দিচ্ছে।

এ বিষয়ে বিজিবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহম্মদ আলী জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবারের হামলার ঘটনায় বিজিবির এক সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। হামলার সময় টহল দল ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর বিজিবির ওই সদস্য নিখোঁজ হন। বিজিপি অবশ্য নিখোঁজ সদস্যকে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

(ওএস/এটিআর/মে ৩০, ২০১৪)