নিউজ ডেস্ক : সংসারজীবন মানেই হাজারো সমস্যার বাগানে হেঁটে চলা একসাথে। দাম্পত্যজীবনে কখনও ঝগড়া করেননি এমন জুটি খুঁজে বের করা শুধু কঠিন তো নয়ই, বরং পৃথিবীর ইতিহাসে এমন উদাহরণ আছে কি না তা খুঁজে বের করা অসম্ভব প্রায়। 'তোমার সঙ্গে সংসার করাটাই ঢের ভুল হয়েছে' এমন কথা বলেননি এমন দম্পতি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু তাই বলে কিন্তু মানুষের জীবন, প্রেম, বিয়ে, ভালোবাসা থেমে নেই। মানসিকতায় অমিল ঘটলে কী করবেন-

আসল বিষয় হচ্ছে আমরা অনেক সময় বুঝে উঠতে পারি না আমাদের ভালোবাসার গভীরতাটুকু। একসাথে চলার ক্ষেত্রে অনেক সময়ই নিজেদের ভেতরে কিছু মনোমালিন্য, মতের অমিল হতেই পারে। হয়তো সকালের নাস্তার টেবিলে বসেই আপনি দেখতে পেলেন আপনার সামনে আপনার অপছন্দের কিছু একটা ঘটেছে। হয়তো আপনি হঠাৎ করেই বিষয়টাতে রেগে গেলেন। আবার অন্য দিকে আপনার স্ত্রীও হয়তো বিষয়টা সহজভাবে নিতে পারল না, ব্যস হয়ে গেল সকালের ঝগড়া। দেখা যাবে এই সকালের ঝগড়ার রেশ গিয়ে পরছে অফিসের কাজের মধ্যে।
খুব তুচ্ছ কিছু বিষয় নিয়ে তৈরি জটিলতাগুলোকে আমরা নিজেরাই লালন করি এবং সেগুলোকে আমরা নিজেরাই আবার অনেক বড় করে তুলি। অথচ আপনি নিজেই চিন্তা করুন, আপনার স্ত্রীর সাথে আপনি যে বিষয় নিয়ে ঝগড়া করছেন, ঝগড়া মিটে গেলে কি সে বিষয়টিই আপনার কাছে অনেক সরল মনে হয় না?
যখন দুজন মানুষ একসাথে থাকে তখন তাদের ভেতরে মনোমালিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকবেই। পৃথিবীতে সম্পূর্ণ মতের মিলসম্পন্ন দুজন মানুষ খুঁজে বের করা মোটামুটি অসম্ভব। তবে অনেক অমিলের ক্ষেত্রেও চেষ্টা রাখতে হয় যেন একটি গ্রহণযোগ্য তর্কের জায়গা থাকে দুজনের মধ্যে, অমিলের ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত 'ভালো'র দিকে ধাবিত হওয়া যায়। এক্ষেত্রে দুজনের প্রতি দুজনের শ্রদ্ধার জায়গা তৈরি হওয়া খুব দরকার। আর অবশ্যই তুলনামূলক যৌক্তিক গ্রহণযোগ্য মতকে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আরেকটা বিষয় হলো, ভালোবাসার ক্ষেত্রে খুব সহজেই হতাশ হওয়ার একটা প্রবণতা আছে আমাদের। দু-একটা মতের অমিল থেকে অনেকেই আলাদা থাকার চিন্তা শুরু করে দেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখা খুব দরকার, যখনই প্রিয় মানুষটার সাথে থাকতে না চাওয়ার একেকটা কারণ চিন্তা করবেন, তখন চিন্তা করুন এসবের বিপরীতে একসাথে থাকার জন্য কত হাজার হাজার কারণ আছে। ভালোবাসার মানুষকে কিছুটা বোঝার চেষ্টা করুন দেখবেন নিজে থেকেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে।
(ওএস/এএস/মে ৩০, ২০১৪)