নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :তিনটি ধাপে নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের আওতাধীন এলাকার উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছেন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। প্রথম ধাপে শিক্ষার মানোন্নয়ন, দ্বিতীয় ধাপে চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন এবং তৃতীয় ধাপে শিল্পায়নের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করে যুব সমাজকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী করে গড়ে তোলার আশা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বছরকে তিনি ব্যর্থতার বছর বলে উল্লেখ করলেও এলাকার মানুষকে সাহস দিতে পারা এবং তাদেরকে একত্রিত করতে পারাটাকেই সফলতাকেই নিজের সফলতা হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, আপনারা একত্রিত থাকলে নাসিম ওসমানের স্বপ্নের অসমাপ্ত সকল কাজ আমি সম্পন্ন করতে পারবো। আমি ভবিষ্যত প্রজন্ম ও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি। নাসিম ওসমান ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা নাসিম ওসমানের দায়িত্ব নিয়েছি। আজকে যারা স্কুল শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দায়িত্ব নিতে হবে।

শনিবার(৯ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দর বালুচর এলাকায় মিরকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১১নং মিরকুন্ডী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভাস্থলে পৌছে সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান স্কুলের নতুন ভবনের নামফলক উম্মোচন করেন। সেই সাথে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ও লাল ফিতা কেটে তিনি নতুন ভবনের শ্রেনীকক্ষ গুলো ঘুরে দেখেন।

সভায় তিনি আরও বলেন, এরপর আমাকে আর কোন স্কুলে ডাকা হলে আমাকে স্বাগত জানাতে স্কুলের কোন বাচ্চাকে রাস্তায় দাঁড় করাবেন না। আমি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সম্মান দিতে আসি। কোন স্কুলে যেতে হলে আমাকে চিঠি দিবেন আমি হাজির হয়ে যাবো। প্রয়োজনে স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে আমি বাচ্চাদের সাথে কথা বলবো। তাদের সমস্যা তাদের মুখ থেকেই আমি শুনতে চাই। আমি আসলে বাদ্য বাজনা বাজিয়ে ফুল দিয়ে আমাকে স্বাগত জানাবেন আর জিন্দাবাদ করবেন? ওই দিন শেষ। জিন্দাবাদ করে সময় নষ্ট করা যাবে না।

সেই সাথে তিনি বন্দর উপজেলার প্রত্যেকটি স্কুল পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে ওই কমিটির মাধ্যমে প্রত্যেকটি স্কুলের উন্নয়ন করে বন্দর উপজেলার শিক্ষার মানোন্নয়ন করার ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান, নির্বার্হী কর্মকর্তা(ইউএনও), ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার, অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের উপস্থিত না হওয়ার কারণ ব্যাখা দিয়ে জবাবদিহি করার কথা বলে উপজেলা চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। উনি যে দলরেই হোক না কেন উনাকে জনগনের কল্যাণে কাজ করতে হবে। উনার চেয়ারকে মূল্যায়ন করা হয় তাই প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে উনাকে উপস্থিত থাকতে হবে।

সভা চলাকালে অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত হয়ে ছিলেন বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার। তবে শেষ পর্যন্ত অনুপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্ত(ইউএনও) মিনারা নাজনীন।

মিরকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আক্তারুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নজরুল ইসলাম, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলেয়ার হোসেন প্রধান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী ভুইয়া প্রমুখ।



(বিডি/এস/জানুয়ারি১০,২০১৫)