স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। আমরা এ অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কেউ বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে পারবে না।’

রবিবার গণভবনে ত্রিপুরার পাওয়ার, রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রী মানিক দে’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ বিষয়ে কথা বলেন।

ত্রিপুরা থেকে একশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। উভয়পক্ষ বিদ্যুৎ ক্রয় ও সরবরাহের বাকি পর্যায়গুলো শিগগিরই সম্পন্ন করবে বলে আশা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের আরও বিদ্যুৎ প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের কথা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ‘সীমান্ত হাট’র গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর বন্ধ হওয়া সড়ক ও রেলপথগুলো আবারো চালু করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন মানিক দে।

মানিক দে জানান, ত্রিপুরা থেকে শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

বাংলাদেশের কুমিল্লা সীমান্তের কাছে ত্রিপুরার মনারচরে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সেখানে ছিলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ারুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ১০, ২০১৬)