স্টাফ রিপোর্টার : তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। রবিবার প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।

ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম সাইফুল ইসলামের আদালত রবিবার এ দিন ধার্য করেন। প্রথম দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী পুলিশের উপ-পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম। সাক্ষ্য শেষে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট টি এম আকবর ও ফারুক আহমেদ।

বাদী সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বলেন, ‘২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর অজ্ঞতনামা আসামিরা তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় কর্মরত শ্রমিকরা ছোটাছুটি শুরু করেন এবং অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। প্রাণ হারান অনেকে।

‘আগুন দেওয়ার কারণে কারখানার ১০৮ জন মারা যান। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের লাশ শনাক্ত করতে না পারায় দাফনের জন্য আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে পাঠানো হয়’ বলেও জানান পুলিশের এসআই খায়রুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন নিহত হন। আহত ও দগ্ধ হন আরও দুই শতাধিক শ্রমিক।

পরের দিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর কারণে দণ্ডবিধি ৩০৪ (ক) ধারা যুক্ত করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিজিএম) আদালতে তাজরীন ফ্যাশনের এমডি দেলোয়ারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন- তাজরীন ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন ও লোডার শামীম মিয়া।

২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান।

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ১০, ২০১৬)