রানীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈলে ইট ভাটাগুলিতে অবাধে জ্বলছে জালানি কাঠ, এতে নষ্ট হচ্ছে সোনালী ফসল। রানীশংকৈল উপজেলায় ইট ভাটার মালিকরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে অন্য কোন দিক না তাকিয়ে দেদারসে কাঠপুড়িয়ে সরকারের আইনকে বৃদ্বাঙ্গুলি দেখিয়ে কৃষকদের ফেলেছেন মহাবিপদে । অন্যদিকে ইট ভাটার কাঠখড়ি পোড়ানোতে রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা।

ইট ভাটার মালিক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ হোসেন বিপ্লব জানান, মৌসুমের প্রথম থেকে ইট ভাটার ১২শ শ্রমিক কাজ করেন। ইট পোড়ানোর কাজ সম্পূর্ণভাবে না করতে পারলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবে।

এক ভাটার মালিক জানান, কাঁচা ইট প্রস্তুতের পূর্বেই ১৫-২০ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে হয়। কাঠখড়ি না জালালে প্রতি ইট ভাটার মালিকদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি গুনতে হবে। ইট তৈরির জন্য এখন চলছে বৃক্ষ নিধনের মহোৎসব। এতে বিরুপ প্রভাব পরবে পরিবেশের উপর। এদিকে ভাটার আশে পাশে থাকা ফসলি জমিগুলিতে ফসল ভাল হচ্ছে না বলে অভিযোগ কৃষকদের। সে সাথে ভাটাগুলির আশে পাশে থাকা বিভিন্ন ফলন গাছেও তেমন ফলন হচ্ছে না। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফলন গাছগুলি। এলাকার সচেতন মহল এর থেকে প্রতিকার চাই। অন্যদিকে প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে এদের বিরুদ্বে আইনুানগ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

(কেএসএ/এইচআর/জানুয়ারি ১১, ২০১৬)