বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার রহমতপুর কলেজিয়েট স্কুলের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণের দশ দিন পর ২ লাখ টাকায় হাত বদলের আগে নিষিদ্ধ পল্লী থেকে নিজ বুদ্ধিমত্তায় পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে।

এ ঘটনায় চিতলমারী একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফিরে আসা ওই অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি পর সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার জানায়, গত ৩১ ডিসম্বের দিনের বেলা ওই স্কুল ছাত্রীকে কয়েকজন লোক রহমতপুর রাস্তা থেকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকায় নিয়ে যায়। ওই ছাত্রী গত ৬ জানুয়ারী তাকে ২ লাখ টাকা হাত বদলের আগে নিজ বুদ্ধিমত্তায় কৌশলে নিষিদ্ধ পল্লী থেকে পালিয়ে এসে তার মামা শামীম শেখকে ফোন করে। খবর পেয়ে মামা দ্রুত রাজধানীর গুলিস্থান এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করেন। গত ৮ জানুয়ারী অপহৃত ছাত্রীর মা সোনাই বেগম বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অসুস্থ ওই ছাত্রীকে চিতলমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে হাসপাতলের চিকিৎসক সজল কান্তি বিশ্বাস বলেন, অপহৃতা ছাত্রীর ডান হাতে ইনজেকশান দেওয়ার দু’টি চিহ্ন রয়েছে। তার সর্ব শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা রয়েছে।

রহমতপুর কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শেখ আঃ সালাম বলেন, ২০১৫ সালের জেএসসি পরীক্ষায় তার স্কুল থেকে ওই ছাত্রীটি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়বাড়িয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই মো. একরামুল হক জানিয়েছেন, স্কুল ছাত্রীটি দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিল। সোমবার দুপুরে তার মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি নিয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্ত চলছে আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ১১, ২০১৬)