স্টাফ রিপোর্টার : গাড়ির ধোঁয়া থেকে ঢাকা শহরকে কলুষমুক্ত রাখতে প্রয়োজনে হেঁটে কোর্টে যাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে) সিনহা।

মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের যৌথ আয়োজনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এস কে সিনহা বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শহরকে কলুষমুক্ত রাখতে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় (একদিন জোড় নম্বরের গাড়ি ও তার পরের দিন বেজোড় নম্বরের গাড়ি চলাচলের অনুমতি) নিয়ম মেনে চলার কথা বলেছেন। সেই সময় ভারতের প্রধান বিচারপতি কলুষমুক্ত নগরীর জন্য বাসে বা হেঁটে কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। ওনার সঙ্গে একমত হয়ে আমিও একই কথা বলছি।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোনো মেয়র এই প্রথম পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। এজন্য সাঈদ খোকনকে সাধুবাদ জানাই। আমি টিভিতে দেখেছি, পুরান ঢাকায় তিনি নিজেই ময়লা পরিষ্কার করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট পবিত্র জায়গা। অর্থনেতিক ও জনবল সীমাবদ্ধতার কারণে এ স্থান ঠিকমতো পরিষ্কার রাখতে পারছি না। সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে একটি বাগান আছে। যেটার সৌন্দর্যবর্ধনে সহযোগিতা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উচ্চ আদালতের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা বাড়াতে ওই বাগানের মতো সুপ্রিম কোর্টের বাইরের অংশেরও সৌন্দর্যবর্ধন করা দরকার।

সুয়ারেজ লাইনের সংযোগ বন্ধ করে বুড়িগঙ্গা ক্লিন করলে ঢাকা আরও সুন্দর হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সিউলের একজন মেয়র তার শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। পরে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। ঢাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের ঢাকা শহর বিভিন্ন সংকটে জর্জরিত। এর মধ্যে অপরিচ্ছন্নতা অন্যতম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তার জনবলের কথা চিন্তা করে ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্নতা বছর ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের একার পক্ষে এ শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। এজন্য সবাইকে মেয়রের ভূমিকা পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১২, ২০১৬)