রাঙামাটি প্রতিনিধি : পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সরকারের যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি এই এলাকার অধিবাসীদের জন্যও চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই চুক্তি বাস্তবায়নের পথ থেকে পিছপা হওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকার আন্তরিক। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়ের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই এলাকার উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির গুরুত্ব রয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষ্টি, সংস্কৃতি সংরক্ষণে উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

চার দশকে উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করে সামনের দিনগুলোতে এই এলাকার উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি আরো বেশি সম্পৃক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, পার্বত্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি, খাগড়াছড়ি আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সানাউল হক পিএসসি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চাকমা।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি রাঙামাটির প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌরসভা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এছাড়া রাঙামাটিতে মাউন্টেন বাইসাইকেল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় রাঙমাটির কাপ্তাই উপজেলার সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে ৩৯ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রায় ২০ কিলোমিটার উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ পার হয়ে প্রথম হয়েছেন রনি মাসুদ রানা। দ্বিতীয় হয়েছেন মাসুদ রানা। একই পথ পার হতে তিনি সময় নিয়েছেন ৪১ মিনিট ১২ সেকেন্ড। তৃতীয় হয়েছেন মিজানুল আজম। তিনি সময় নিয়েছেন ৪১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড। প্রতিযোগিতায় রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ২৫ জন অংশ নেন।

পরে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাতে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড অফিসটি সাজানো হয়েছে নানা রংয়ের আলোয়।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১৪, ২০১৬)