নিউজ ডেস্ক : প্রতিদিন কাজ করতে গেলে আমাদের অনেক এনার্জি খরচ হয়ে যায়। এ কারণে কাজের বিরতিতে এমন কিছু খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন যেগুলো শরীরে এনার্জি ফিরিয়ে দেবে এবং কাজ করার স্পৃহা সৃষ্টি করবে।

. মিষ্টি :

মিষ্টিতে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ক্যালরিও থাকে প্রচুর। এটি আপনার ক্লান্ত অবসন্ন দেহকে খুব দ্রুত সতেজ করে তুলতে সহায়তা করে। আপনি খেয়াল করে দেখবেন মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার খাওয়ার সাথে সাথে আপনার দেহের রক্ত চলাচল খুব দ্রুত হতে থাকে। আপনি বেশ ফুরফুরে অনুভব করতে থাকবেন। অঅপনার কাজের বিরতিতে একটি বা দুটি মিষ্টি খেয়ে নিতে পারেন।

. চকোলেট :

আপনার কাজের বিরতিতে খেতে পারেন চকোলেট জাতীয় কোনো খাবার। চকোলেঠে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা আপনার দেহে যথেষ্ট শক্তি যুগিয়ে থাকে। ফলে আপনি অনেকটাই স্বাভাবিকবোধ করবেন।

. ঠান্ডাদই :

আপনি হয়ত কাজ করতে করতে অনেকটাই ক্লান্ত। ব্রেনকে আর কোনোভাবেই কাজে লাগাতে পারছেন না। এমতাবস্থায় কি করতে পারেন। খেতে পারেন এক কাপ ঠান্ডা দই। দেখবেন আপনার ব্রেন সাথে সাথে সচল হয়েছে। ঠান্ডা দইতেও পাবেন প্রচুর ক্যালরি যা আপনার ব্রেনকে কাজ করতে সহায়তা করবে।

. উচ্চফাইবারযুক্তবিস্কুট :

এমন অনেক বিস্কুট রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার দেহের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে, পুষ্টি দিয়ে থাকে। আপনি কাজের ফাঁকে এই ফাইবারযুক্ত বিস্কিট খেতে পারেন। সাথে সাথে কাজের এ্যানার্জী ফিরে পাবেন।

. কফি :

কফি অনেকেরই পছন্দের একটি পানীয় যা ক্লান্তিভাব দূর করে, কাজে মনোযোগ আনে এবং শরীরের স্টেমিনা বাড়িয়ে দেয়। আপনার ক্লান্তিভাব দূর করতে আপনি নিমেষেই এক কাপ কফি খেতে পারেন। কারণ কফিতে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে কাজে সহায়তা করকে আপনার ব্রেনকে অনেকক্ষণ জেগে থাকতে সহায়তা করবে।

. কলা :

কলাতে পটাশিয়াম, প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং ফাইবার রয়েছে। এই উপাদানগুলো আপনার শরীরের তাৎক্ষণিক শক্তি যুগিয়ে থাকে। আপনি কাজেন ফাঁকে শারীরিক পুষ্টি নিতে একটি বা দুটি কলা খেয়ে ফেলতে পারেন।

. চকোলেটযুক্ত দুধ :

এক গ্লাস চকোলেটযুক্ত দুধে ৩.১ অনুপাত প্রোটিন রয়েছে যেটি পানির পরিবর্তে খেলে শরীরে অনেক পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি হাড়ের ক্যালসিয়াম তৈরিতে সহায়তা করে এবং শরীরের এ্যানার্জী বাড়িয়ে দেয়। আপনি চাইলে শরীরের এ্যানার্জি ফিরিয়ে আনতে এক গ্লাস চকোলেটযুক্ত দুধ খেয়ে ফেলতে পারেন।

(ওএস/জেএ/মে ৩১, ২০১৪)