অতিপ্রণয়

অতিপ্রসন্ন মনোভাব নিয়ে একদিন বড় বিব্রত হবে

পৃথিবীর বদলে যায় সব কিছু,
সকালের কাঁচাবাজার এর উর্ধ্বগতি আজকাল বড্ড বেশি চড়ে
মুদ্রাস্ফীতির কড়া গুনে গুনে,
বহুদিন পর ফিরে এসে দেখবে কিছুই নেই আগের মতো।

অতিপ্রণয় ও মাছ-মাংশ-সাক-সব্জির মতো,
শীত গ্রীষ্ম আসে যায় কেবলই দোহাই,
আদতে সে সব তোমার থেকে ক্রমঃশ দূরে সরে কেবল,
অতি আপসে হয়তো পাবে, বদলি আর মনের উদ্বেগে,
সব কিছু সরে পড়ে, পদ্মের জল যেদিকে পড়ে তার দিক ধরে।

একদিন পাথর হও,
মুগ্ধতার ভাষ্যকে করে তুলো শুন্য,
সুশীতল কিংবা দগ্ধ স্পর্শ, কি আসে যায় তোমার তাতে!


এভাবেও ভাবা যায়

চোখ পোড়ানো,
বিষণ্ণ বিধুর হবার মতো কি ঘটনা!
স্নান জলে মেশা সাবান ঝাঁপটা -
হঠাৎ ভোগাচ্ছে এই এইক্ষণে।
কিংবা পাড়ায় ঢুকা ছোঁয়াচে রোগ
অস্পর্শেও পেয়েছে তোমাকে।

না, কোন স্মৃতিকাতরতা নেই,
সেই আর্দ্র কথন কবে শুকিয়ে গেছে,
এর ভেতর কতবার রেলিঙে ভর করে
পৃথিবীর বুকে ঘটে গেছে সন্ধ্যা-সকাল।


স্মৃতি

স্বপ্ন শহর ঘিরে অনুস্মৃতি যতো আছে
সব ধুয়ে মুছে যায়-
ভাবুক বৃত্তিতে অভ্যস্ত কৈশোর চোখ
ভরে নামে ভাসান;
আসন্ন বর্ষার পথ ধরে জাগরুক নদী-
অশ্রুজলে শেষ চিহ্নের করে অপেক্ষা।

এইসব গল্প মন খারাপের-
আমি তোমাকে বলবো বলে রাত্রি আঁকি,
আর দেখি রাত্রির মিলিয়ে যাওয়া-
বিপন্ন পথের ধারে, গোর অন্ধকারে।

আমি কি তবে ঝরাবো বৃষ্ট -
অসময় বর্ণের নাভিশ্বাস ধরে ক্লান্ত 'পরে
শিথান ধুইয়ে নিজস্ব শরীর!


একদিন...


একদিন অখণ্ড অবসরে একপ্রস্থ চিঠি'র পরতে পরতে খুঁজে পাবো বসন্তদিনের অপেক্ষা, কোন সে বৃক্ষে ধরে মুকুল তার মানচিত্র। আকাশতলে বসে লেখা তার আকাশের জন্য হিংসে আর ঘুরে ফিরে দীর্ঘ পথের ফিরিস্তি, জীবন এত দুঃসহ আর স্বপ্নকাতর কেন? সহস্র ঘটনাবলির উর্ধ্বে তার সরল ভাষা, একদিন কলকোলাহলের ভেতর দূরীভূত হবে সমস্ত বিষাদ এরূপ ভাবনায় সে কত দুর্গম পথ কেও শিখিয়ে ফেলেছিল স্বপ্নদেখার ব্যারাম।

একদিন হাত থেকে খসে যাবে বর্ণে বর্ণে লুকায়িত ভাবাবেগ। মনে পড়বে তার হেরে যাবার কথা, চলে গেছে বহুদূর, চলে যাওয়া পথে উঁকি দিচ্ছে অবিরত মহুয়াফুল।


জন্মদিন

জন্মদিন জন্মমাস বলে কিছু হয় না। কেবলই নাড়ির বেদনা ফিরে আসে। কেবলই মাতৃমুখের ছায়া। যেন সমুদ্দুর কে ছোঁবে বলে এক বিন্দু জলের জাগে হুলুস্থুল। মেঘ ধরে আসে, যদি ঝড় আসে হঠাৎ, যদি সমুদ্দুর সরে যায় বিষণ্ণ দূর। যেন কারো কে কিছু বলার নেই, ভাবনায় শ্বাপদসঙ্কুল রাত্রির হানা, কেন চিরদিন রোদ্দুর থাকে না! জীবনব্যাপী এত সব কুটিল প্রশ্নবান নিয়ে আমি কতদূর যাবো, কতদূর যাবে নাড়িবেদনা রেখা? আকাশ ভরে আসে ধূসর নীলাভ, ভয়ার্ত মঞ্জরীতে ধরে এত এত সুর, তবে কেন এই বুঝি পাতা ঝরে যায়, এই বুঝি শেষ হয় পদযুগলের কোরাস।

ব্যালকনি

চোখে ভাসছে দূরালাপনীময় সন্ধ্যা
হাওয়া প্রেমিকপ্রবণ,
এই সব গন্ধ, ঘ্রাণ বহুদূর মিলিয়ে -
কার চোখে পৃথিবী স্বর্গবন?

সমস্ত জীবন ধরে তুমি প্রতীক্ষায়
আসে বুঝি ওই সরল সমীকরণ,
আকন্ঠ আকুতি কান্না হলো আর -
অন্ধকার নামি নামি সময়ে দু;খবরণ।

তবুও রোগশয্যার ভেতর থেকে
কষ্ট পায়ে ব্যালকনিতে যাও,
দ্যাখো গোধূলির রং পড়েছে ওই
দূরকন্ঠে অনিচ্ছায় মিলিত ঠোঁট দাও।

সমস্ত অসুখ তোমার সেরে যাবে।