নারায়ণগঞ্জে একই পরিবারের ৫ জনকে গলা কেটে হত্যা
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ফতুল্লার দেওভোগ এলাকায় বাবুরাইলে একই পরিবারের পাঁচ জনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’। নিহতদের মধ্যে দুই জন পুরুষ, দুইজন নারী এবং একটি শিশু রয়েছে।
ইতিমধ্যে র্যাবের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সাত খুনের রেশ না কাটতেই ঘটলো আরেক নৃশংসতার এই ঘটনা ঘটলো।
শনিবার ( জানুয়ারি ১৬) রাত পৌনে দশটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত বাবুরাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফোরকান শিকদার ঘটনার নিশ্চিত করেন।
ৠাব ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছেন।
নিহতরা হলেন, তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ভাই মোরশেদুল (২২) এবং তার জা লামিয়া (২৫)।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত তাসলিমার ননদ হাজেরা বেগম নিহতদের নাম,পরিচয় ও সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাবুরাইলের যে বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তার মালিক ইসমাইল হোসেন আমেরিকা প্রবাসী।
তাসলিমার পরিবার ছয়তলা বাড়িটির নিচ তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।
তাসলিমার স্বামীর নাম শফিক। তিনি ঢাকায় গাড়ি চালানোর কাজ করেন বলে জানান তাসলিমার খালাতো ভাই দেলোয়ার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (জানুয়ারি ১৫) সন্ধ্যা থেকে ওই ফ্ল্যাটের দরজা তালাবদ্ধ ছিলো। শনিবার রাত আটটার দিকে তাসলিমার এক আত্মীয় সেখানে এসে ফ্ল্যাটটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাদের মোবাইলে ফোন করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ না করায় তিনি বিষয়টি বাড়ির মালিকের চাচাতো ভাই হাজী মোহাম্মদ হোসেনকে জানান। পরে মোহাম্মদ হোসেন প্রশাসনকে নিয়ে ফ্ল্যাটের তালা ভাঙ্গেন।
(ওএস/পি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৫)