ডেস্ক রিপোর্ট : 'আর বলিস না, জানিস কী হইছে আমাদের ক্লাসের শিমু আছে না ও তো রাকিবের সাথে কী সব চিঠিপত্র নাকি চালাচালি করে আরও শুনবি...' থাক বাকিটুকু আমরা আর না শুনি, এ রকম পরচর্চামূলক অনেক কথাই থাকে, যা প্রায়ই আমরা একে অন্যের সাথে বলে থাকি, আপাত অর্থে একে আমরা গসিপ বলে থাকি। গসিপ করাটা খুব একটা ক্ষতিকর মনে না হলেও এর অনেকগুলো খারাপ দিক কিন্তু আছে।

সরাসরি শারীরিক কোনো ক্ষতি না হলেও মানসিক ক্ষতি এবং সম্মান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কখনোই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। কোনো ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত জীবনে কী করবেন, না করবেন—তা পুরোটাই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ নিয়ে অযথা গসিপ করলে সবার কাছে আপনি আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলবেন। কেউ আপনাকে বিশ্বাস করবে না বা আপনার সামনে তারা মন খুলে কথাও বলতে পারবে না। কারণ, তাদের মনে হতে পারে, পরবর্তীকালে হয়তো সেই সব কথা আপনার গসিপের বিষয় হয়ে উঠতে পারে।

আমাদের সবার মাঝেই একটি পজিটিভ এনার্জি থাকে, যা দৈনন্দিন জীবনকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আশপাশের সবকিছু উপর একটি পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা করতে সাহায্য করে। কেউ যদি ক্রমাগত গসিপের মতো কোনো নেগেটিভ কাজে সময় নষ্ট করে, তাহলে ব্যক্তির মাঝে আস্তে আস্তে একটা নেগেটিভ ভাবই তৈরি হয়, যা কোনোভাবেই মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। অত্যধিক গসিপ আপনার মনঃসংযোগ নষ্ট করে ধীরে ধীরে আপনার মধ্যে একটা অস্থিরতা তৈরি করে।

কী করা উচিত

অন্যের ব্যক্তিগত জীবনে তাদের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে অকারণে মন্তব্য করা একেবারেই উচিত নয়। তাই যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত।

কেউ বিশ্বাস করে আপনার কাছে তার কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপারে আলোচনা করলে, তা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির সাথে আলোচনা না করা উচিত।

অতিরিক্ত গসিপ করার অভ্যাস যাদের আছে, তাদের পক্ষে হুট করে একদিনে গসিপ ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে সবসময় একটা নোটবুক রাখুন। একান্তই কারও সাথে কোনো কথা শেয়ার করতে ইচ্ছে করলে তা সেই নোটবুকে লিখে ফেলুন। এতে আস্তে আস্তে আপনার গসিপ করার অভ্যাসটা কমে যাবে।

নিজেকে সবসময় অন্য কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।

ভালো বই পড়ুন, গান শুনুন। সবসময় পজিটিভ চিন্তা করুন।

(ওএস/এইচআর/মে ৩১, ২০১৪)