আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলায় দুই জ্ঞাতি বোনকে ধর্ষণের পর গাছে ঝুলিয়ে হত্যার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে শনিবার একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে এই ঘটনায় জড়িত চারজন গ্রেফতার হয়েছিলেন।

ঘটনার শিকার ওই দুই বোনের পরিবার থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরও যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট দুই পুলিশ সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে উত্তর প্রদেশের রাজ্য সরকার। ঘটনার তিন দিন পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার এই প্রতিশ্রুতি এসেছে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে বাদাউন জেলার কাতারা গ্রামে বাড়ির বাইরে বের হলে অপহরণ করা হয় ১৪ ও ১৫ বছর বয়সী দুই কিশোরীকে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণে পর বুধবার সকালে একটি গাছে তাদের মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা।

অপহরণের পর অভিযোগ (এফআইআর) জানাতে গেলেও পুলিশ কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানিয়েছেন নিহত এক কিশোরীর বাবা। এফআইআর করতে ব্যর্থ হয়ে অভিভাবকরা জানতে পারেন ওই দুই বোনের লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলছে।

পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর আন্দোলনের মুখে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা নেয় পুলিশ।

নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করা হয়েছে। অভিযুক্তরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে দ্বিধায় আছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।

রাজ্য সরকার ও রাজ্যের পুলিশের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন উল্লেখ করে তারা ন্যায়বিচার পেতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা। ওই গ্রামবাসীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ভারতের অন্যান্য জায়গাতেও অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে মানুষ।

এদিকে নিহত দুই কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে শনিবার দেখা করতে যাওয়ার কথা রয়েছে কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর। সূত্র: এনডিটিভি।

(ওএস/এইচআর/মে ৩১, ২০১৪)