পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভার সত্যজিৎপুর পালপাড়া আদি কালিমন্দিরে ২৮ মে রাতে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত কর্তৃক শিব মূর্তির ২টি পা ও কালিমূর্তির বাম হাতের কব্জি ভেঙ্গে মূর্তির ক্ষতি সাধনের ঘটনায় পাংশা থানায় মামলা দায়ের করা করেছে।

মন্দিরের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ পাল অরফে বাদল পাল বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, গত ২৭ মে রাতে মন্দিরে বাৎসরিক কালিমাতা পূজা শেষে প্রসাদ বিতরণ শেষ করে শতাধিক পূজারি গভীর রাতে যে যার মত বাড়ি ফিরে যান।বৃহস্পতিবার ২৯ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেলা রানী পাল, সন্ধ্যা রানী পাল, ললিতা রানী পাল, বাসন্তি রানী পাল ও ষষ্ঠি রানী পালসহ স্থানীয় কয়েকজন পূজারী মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে তারা শিব মূর্তির ২টি পা ভাঙ্গা ও কালিমূর্তির বাম হাতের কব্জির স্থানে ভাঙ্গা অবস্থায় দেখে বিষয়টি লোকজনকে অবহিত করেন।

তাৎক্ষনিক ভাবে কালিমন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক তমাল চক্রবর্তী, ডা. তির্থনাথ চক্রবর্তী, মনোজিৎ পাল, পিন্টু পালসহ আশপাশের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মন্দিরে গিয়ে বিষয়টি দেখেন। কালিমন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক তমাল চক্রবর্তী থানা পুলিশ প্রশাসনসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি অবহিত করেন।

দুপুর দেড়টার দিকে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল বাশার মিয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের রাজবাড়ী জেলা শাখার আহবায়ক অশোক বাগচী, সদস্য সচিব প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত, সদস্য সুব্রত সরকার, স্বপন কুমার রায় ও গনেশ মিত্র, পাংশা উপজেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর, সহ-সভাপতি ভজগোবিন্দ দে, প্রান্তোষ কুমার কুন্ডু ও উত্তম কুমার সাহা (কার্তিক), সাধারন সম্পাদক নির্মল কুমার কুন্ডু, সাংগঠনিক সম্পাদক সুনীল কুমার বিশ্বাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সমীর কুমার দাস, পাংশা পৌরসভা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক গৌতম বসাকসহ নেতৃবৃন্দ মন্দির পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত শিবমূর্তি ও কালিমূর্তি পর্যবেক্ষণ করেন।

পাংশা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর বলেন, বুধবার রাতের যে কোনো সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা মন্দিরে নাশকতার আশ্রয় নিয়ে শিব ঠাকুর মূর্তির দু’ট পা ভেঙ্গে ফেলানোসহ কালি ঠাকুরের বাম হাতের কব্জি স্থানের ভেঙ্গে মূর্তির ক্ষতিসাধন করেছে।

তিনি আরো বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হয়তো কেউ এটি করতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করার জন্য থানা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

(এমএইচ/জেএ/মে ৩১, ২০১৪)