নিউজ ডেস্ক : অভিনয় জগতে নিজের প্রতিভার সাক্ষর নায়ক তানভীর। প্রথমে মডেলিং তারপর গুলশান এভিনিউ নাটকের মাধ্যমে অভিনয়ের রঙ্গিন দুনিয়ায় চলা শুরু। বাবা ছিলেন থিয়েটারের একনিষ্ঠ প্রাণ, মা ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার। পরিবারের আগ্রহে বিদেশ থেকে চলে এসে মিডিয়াতে কাজ করতে থাকেন। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, হুমায়ুন ফরীদি, মাহফুজ আহম্মেদ, বন্ধু অপূর্ব তার অনুপ্রেরণা। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন-শোভন সাহা

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : কেমন আছেন?
তানভীর : সবার দোয়ায় ভাল আছি।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : কাজ নিয়ে এই সময়ে কেমন ব্যস্ত আছেন?
তানভীর : কাজ নিয়ে বর্তমানে খুবই ব্যস্ত আছি। টেলিফিল্ম করছি। পাঁচটা সিরিয়াল বিভিন্ন টেলিভিশনে নিয়মিত যাচ্ছে, বি.ইউ শুভর পরিচালনায় “লাইফ ইন মেট্রো” এ.টি.এন বাংলায় প্রচারিত হচ্ছে। হিমেল আশরাফের একদিন ছুটি হবে আনন্দ টিভিতে ( জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে আনন্দ টিভি অন এয়ারে আসবে)। তাছাড়া বর্তমানে আমি সিনেমা নিয়ে খুবই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : একজন অভিনেতা হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য আপনার অনুপ্রেরণা কে ছিলেন?
তানভীর : প্রথমেই আমি বলব আমার পরিবারের সার্পোট সবচেয়ে বেশি ছিল। আমার পরিবার আমাকে অনেক উৎসাহ জুগিয়েছে মিডিয়া সেক্টররে কাজ করার জন্য। আমি লেখাপড়ার উদ্দেশে একটা সময় ইউনাইটেড কিংডমে (ইউ.কে) ছিলাম। আমি ইচ্ছা করলে ঐখানে ভাল চাকরী নিয়ে বসবাস করতে পারতাম, তারপরও কেন যেন বাংলাদেশের প্রতি একটা গভীর টানে আবার দেশে ফিরে আসি।আমি মূলত মডেলিং দিয়ে প্রথম মিডিয়া জগতে আসি সময়টা ২০০৪ বা ২০০৫ সাল হবে। আমার মা ফ্যাশান ডিজাইনার ছিলেন আর বাবা অনেক আগে একটা সময় থিয়েটার করতেন শুনেছি কিন্তু আমি কখনো তাকে থিয়েটারের মঞ্চে দেখিনি। সেই হিসাবে পরিবারের কাছ থেকে মিডিয়ায় কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা পেয়েছি। যাদের দেখে মডেলিংয়ে আসা তাদের মধ্যে আফজাল হোসেন, হুমায়ুন ফরীদি, মাহফুজ আহম্মেদ আর আমার বন্ধু অপূর্ব ।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : অভিনয়ে আসার পর আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট কোনটি ছিল?
তানভীর : আমি একটু ভাগ্যবান কারণ আমার প্রথম বিজ্ঞাপনের পর পরিচালক আরিফ খান আমাকে একটা সিঙ্গেল নাটকে অভিনয়ের সুযোগ দেয় তখন নাটকটিতে হুমায়ুন ফরীদি, মিতা চৌধরী সহ আরো অনেক ভাল ভাল অভিনেতা ও অভিনেত্রী যাদের সাখে কাজ করার সময় আমি বুঝিনি যে আমি নতুন এবং তারাও আমার সাথে অনেক আন্তরিক ছিল তারাও আমাকে বুঝতে দেয়নি যে এটা আমার প্রথম কাজ।তার পরের কাজ ছিল নায়ক আলমগীরে সাখে এটা চ্যানেল আইতে প্রচারিত হয়। আমি বড় বড় অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের সাথে কাজ করেছি এবং ঝটপট সব প্রচারিত হয়েছে এটাও একটা বড় টার্নিং পটেয়ন্ট ছিল মিডিয়াতে নিজের জায়গাটা পাকা করে নিতে। আর আমার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে গুলশান এভিনিউ ধারাবাহিক নাটক এখনো আমাকে অনেক দর্শক গুলশান এভিনিউ এর তানভির হিসাবে চেনে।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : আপনার নতুন চলচ্চিত্র সম্পর্কে কিছু বলুন?
তানভীর : সম্প্রতি আমি সাইফ চন্দনের পরিচালনায় টার্গেট চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করলাম। চলচ্চিত্রটিতে আরো অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগার ,ডন ভাই, সানজিদা তন্ময় নিবর আর মিলন ভাই। এখানে মূলত আমি পুলিশ ইনেসপেক্টর হিসাবে অভিনয় করি। তাছাড়া চলচ্চিত্রটিতে তিনজন নায়ক ও তিনজন নায়িকা নিয়ে মাফিয়া ধরনের গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : নাটক বা সিনেমার মধ্যে কোনটিতে অভিনয় করতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
তানভীর : আসলে নাটক বা সিনেমা দুইটি আলাদা জিনিস। তবে ভাল গল্প থাকলে আমি দুইটিতেই অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তাছাড়া কেবল আমি একটি সিনেমা শেষ করলাম সামনে আরো কিছু সিনেমা নিয়ে আলোচনা করছি তাই আমি বলব অভিনয়টা নাটক বা সিনেমার মাপকাঠিতে মাপা উচিৎ হবে না।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : ক্যারিয়ার হিসাবে অভিনয়টাকে কতটা নির্ভরযোগ্য বা সমোপযোগী বলে মনে করেন?
তানভীর : অভিনয়ে যখন আসি তখন যে আমি মিডিয়াতে এই ভাবে কাজ করব তা ভাবিনি কোন সময়। এখন সব সময় অভিনয়ে আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। আসলে অভিনয় এমন একটা জিনিস যা কোন ভাবেই ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে ফাকি দেওয়া যায়না। যদি একশত ভাগ দিয়ে অভিনয়ে মনোনিবেশ করা যায় তাহলে এটা ক্যারিয়ার গড়তে নির্ভরযোগ্য বা সমোপযোগী বলে আমি একান্তভাবে মনে করি।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : নতুন যারা অভিনয়ে আসতে চায় তাদের কি কি ধরনের গুনাবলী খাকা আবশ্যক বলে মনে করেন?
তানভীর : প্রথমেই নিজের মধ্যে প্রচন্ড পেশাদারিত্বের চিন্তা ভাবনা ধারন করতে হবে।সবার সাথে যেন হাসি মুথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক বজায় কাজ করতে হবে।গল্পটাকে সঠিকভাবে বুঝতে হবে। বন্ধুত্ব শুধু নতুনদের জন্য না এটা বড় ছোট নতুন পুরাতন সকল ধরনের অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মধ্যে থাকতে হবে যাতে যেন তারা সবাইকে আপনকরে নিতে পরে।

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ : অভিনেতা তানভীর ও ব্যক্তি তানভীর কিভাবে নিজের দ্বৈত্ত্ব সত্তাকে আলাদা ভাবে অনুভব করেন?
তানভীর : আমাকে অনেক মানুষই মনে করেন আমি আসলে মনে হয় একটু রাগী বা গম্ভীর। কিন্তু আমি আসলে অনেকটা ঐরকম না। আমার চেহারাটাই একটু অন্য রকম। তাছাড় অবসর সময়ে বন্ধু বা কাছের মানুষদের সাথে গল্প করি। এমনিতে একা থাকলে গান শোনা বা ভ্রমন কাহিনীর বই পড়ে সময়টাকে উপভোগ করার চেষ্টা করি।