নওগাঁ প্রতিনিধি : নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা সদরে ছোট যমুনার নদীর কোল ঘেঁষে মহাশ্মশানটি ও সংলগ্ন ছেলাকালি মন্দিরটি আজ বিলীন হতে চলেছে। চলতি খরা মৌসুমে শ্মশান ও মন্দিরটির নদী তীরের গা ঘেঁষে মাটি ভরাট না করলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এর স্মৃতি চিহ্ন খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়বে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর বাঁক হওয়ার কারনে বর্ষা মৌসুমে নদীর স্রোতে মহাশ্মশান ও ছেলাকালির মন্দিরের পিছনে নদী তীরবর্তী মাটি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে বিপরীত পাশে উঁচু চর সৃষ্টি হয়েছে। ছেলা কালি মন্দির কমিটির ও বদলগাছী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তুহিন কান্তি চৌধুরী পঙ্কজ জানান, মন্দির ও শ্মশান রক্ষায় নদীর প্রকৃত গতিপথ ফিরিয়ে আনা দরকার। ইতোমধ্যেই তার কিছুটা সূচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু ঠিকাদার বালুমহাল লীজ নিয়ে নদীর বুকের উঁচু চর কেটে বালু তুলছে। এতে নদীর প্রকৃত গতিপথ ফিরিয়ে আসার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। ওই চর কেটে নীচু করলে আগামী বর্ষা মৌসুমে ওই স্থান দিয়ে নদীর স্রোত প্রবাহিত হবে। এতে মহাশ্মশান ও ছেলাকালি মন্দিরের পিছনে মাটি ভাঙ্গা বন্ধ হয়ে যাবে।

বদলগাছী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার দীনেশ কুমার সিংহ জানান, চলতি খরা মৌসুমে শ্মশান ও মন্দিরের পিছন কোল ঘেঁষে মাটি ভরাট করা প্রয়োজন। আর এব্যাপারে সরকারী পদক্ষেপ গ্রহন করা অতীব জরুরী হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে নদীর বুকের চর কেটে ওই মাটিও ভাঙ্গা অংশে দিলে অনেকটাই রক্ষা পাবে বলে জানান তিনি। বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম জানান, নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের লীজ নেয়া বালু দিয়ে নদীর বাঁধ বা শ্মশান-মন্দিরের ভাঙ্গণ রোধ করা যাবেনা। নদীর ডান তীরের বাঁধ ও শ্মশান-মন্দির রক্ষায় সরকারীভাবে জরুরী ভিত্তিতে প্রকল্প হাতে নেয়া প্রয়োজন। ভাঙ্গন স্থলে চরের বালু দিলে তা কখনোই টেকসই হবেনা। তবে নদীর বুকে জেগে ওঠা চরের বালু এই খরা মৌসুমে কেটে নিতে পারলে স্বাভাবিক ভাবেই নদীর গতিপথ সাবেক স্থান দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে নদীর ডান তীরের বাঁধ, শ্মশান ও ছেলাকালি মন্দির ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন শওকত বলেন, নদী তীরের বাঁধ রক্ষায় ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।

(বিএম/এইচআর/জানুয়ারি ১৮, ২০১৬)