নিউজ ডেস্ক : বৃক্ষের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে দীপক জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে বেছে নিয়েছেন বৃক্ষরোপন , প্রতীকি স্লোগান ও সামাজিক আন্দোলন। বৃক্ষমানব দীপককে নিয়ে লিখছেন-  শাহীন সরদার ও আবুল বাশার মিরাজ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পার্শ্ববর্তী বয়ড়া ইউনিয়নের ছেলে দীপক চন্দ্র দাস। দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে বড় হলেও ছোটবেলা থেকেই গাছ লাগানো এবং গাছ পরিচর্যার প্রতি ছিল তার প্রবল আগ্রহ। বাড়ির আশেপাশের যেকোনো জায়গাতেই গাছ লাগাতেন।

দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সাধনা করে পেয়েছেন ‘বৃক্ষমানব’ উপাধি। জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ বিপর্যয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করায় তিনি এ উপাধি লাভ করেছেন।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি আর নির্বিচারে বৃক্ষরোধন করার ফলে বিশ্বের জলবায়ু প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসব তথ্য দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারতেন না দীপক। তাই ২০০২ সাল থেকে পরিবেশ দূষণরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হতেন বিভিন্ন ম্লোাগান নিয়ে। হাতে, পায়ে, মুখে এমনকি মাথায়ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধের বিভিন্ন শ্লোগান লিখে সবার সামনে হাজির হতেন তিনি।

গত বছর ১৪ আগস্ট শুরু হওয়া ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলায় বিভিন্ন বৃক্ষের পাতায় শ্লোগান নিয়ে দীপক হাজির হন সবার সামনে। এ আয়োজনে দীপককে ময়মনসিংহ জেলার ‘বৃক্ষমানব’ উপাধি দেয় জেলা প্রশাসন। দারিদ্রতার মধ্যেও বৃক্ষ সাধনার স্বীকৃতি স্বরূপ দীপককে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন রোধের আন্দোলন সম্পর্কে দীপক বলেন, ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তাদের বৃক্ষরোপনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তবেই দেশের মরুকরণ রোধ করা যাবে সেইসাথে অন্যান্য দেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তন রোধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, আমার মতো সবাইকে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে এগিয়ে আসতে হবে। তবে কোনো আর্থিক সহায়তা পেলে এ আন্দোলনকে আরো বড় এবং সফল করতে পারবো।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২০, ২০১৬)