মোঃ খুরশিদ আলম শাওন

সাংবাদিকদের জাতির বিবেক বলে অভিহিত করেন রাষ্ট্র। কারণ সাংবাদিকরাই রাষ্ট্রের ভাল মন্দ তুলে ধরে রাষ্ট্রের কাছে। মূলত সাংবাদিকরা দেশের উন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যা, আইনশৃংঙ্গলা,কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যাপক ভূমিকা, রাখে।


বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকেই প্রকাশিত হয় জাতীয় দৈনিক বিভিন্ন পত্রিকা সহ ইলেকট্রনিক্স, অনলাইন মিডিয়ার খবরা খবর এছাড়ারাও বিভিন্ন জেলা বিভাগীয় শহর থেকে।। আর এখবর গুলো আসে গ্রামীণ সাংবাদিকদের কাছ থেকেই যদিও নেই যথেষ্ট সম্মানী ভাতা বা বেতনভাতা তারপরেও অনেকে দেশের স্বার্থে বিবেকের স্বার্থে এ পেশায় আসে। আর গ্রামীণ জনপদে কেউ কেউ এ পেশাটিকে নেই দায়িত্ববোধ হিসেবে আবার কেউ নেই ব্যবসা বা সাইনবোর্ড হিসেবে।

যদিও এই সাংবাদিকরা কখনো ক্ষমতাসীন সরকারের বিরোধীতা করে আবার উন্নয়ন বা ভাল দিকগুলোও তুলে ধরে। তথাপি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে গণতন্ত্রের বিকাসের স্বার্থে ব্যাপক ভূমিকা রাখে বলে আমি মনে করি। দেশ স্বাধীনের ইতিহাসে পাওয়া যায়, সাংবাদিকরা ভাষা আন্দোলন,স্বাধীনতা যুদ্বসহ দেশের দূসময়ে ব্যাপক ভ’মিকা রেখেছেন। তবুও সাংবাদিকদের তেমন একটা মূল্যায়ন নেই এ দেশে। যারা পেশাটিকে দায়িত্ববোধ হিসেবে নিয়ে কাজ করছে তারা তখন দেশের আমলা, এমপি মন্ত্রীদের নিকট মূল্যহীন হয়ে পড়ছে কারণ দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে সংবাদ করতে গেলে অনেক সময় এদের বিরুদ্ধে যায় সংবাটটি। আর এ কারনেই বিভিন্ন সময় পড়তে হয় ওই সব আমলা এমপি মন্ত্রীদের সন্ত্রাস বাহিনীর রষানলে। আর এ বাহিনীর রোষানল থেকে কিছুটা বাঁচার তাগিদে পেশাজীবি সাংবাদিকরা একত্র হয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে নেতা তৈরী করে সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেস ক্লাব। এখানেও যেন বাহিনীর রোষানলে বাঁচার কোন উপায় অন্ত নেই, কারণ সেই প্রভাবশালীরাই আবার অর্থের দাপটে পত্রিকার সম্পাদক বনে যান বা তার বাহিনীদের বানান, আর তখন বেকায়দায় পড়ে দায়িত্ববোধ সম্পন্ন সাংবাদিকরা। কখেনা এরা ক্যাডার বাহিনী দিয়ে নামকা ওয়াস্তে সাংবাদিকদের দিয়ে বিদ্রোহী প্রেস ক্লাব গঠন করে বিভিন্নভাবে কতিপয় লোকের স্বার্থ হাসিলের জন্য ।

গ্রামীণ এলাকায় খুঁজলেই পাওয়া যায়। ক্ষমতার দাপটে সরকার কৃর্তক গ্রামীণ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেন তারা। ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈলের সকল পেশাজীবি সাংবাদিকদের দাবি নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন চায় তারা ,যে সংগঠনের চেন অব কমান্ড থাকবে। থাকবে এক উপজেলায়/থানায়/ জেলায় এক সংগঠন। সাংবাদিকদের দাবি জাতীয় প্রেস ক্লাবের অর্ন্তগত বা হস্তগত অথবা অন্য কোন উপায়ে প্রতিটি জেলা উপজেলায় শক্তিশালী সাংবাদিকদের সংগঠন গড়ে তোলা। আর এ দাবি পুরণের জন্য রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।

লেখক :অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক ,রানীশংকৈল প্রেস ক্লাব