মাদারীপুর প্রতিনিধি :মাদারীপুর শিবচরে দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে শুক্রবার রাতে আলমগীর হাওলাদার নামের এক যুবক মারা গেছে। এ ঘটনায় আরো ৭ জন আহত হয়েছে।

পুলিশ, আহত, পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে শিবচর উপজেলার উত্তর বাঁশকান্দি গ্রামের শহিদ মল্লিকের ছেলে প্রান্ত মল্লিকের সুন্নাতে খাতনা অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়ার সময় খাবার টেবিলের খাবার আসতে দেরি হওয়ায় নিমন্ত্রিত মেহমান ও খাবার পরিবেশকদের (খাতিনদার) মধ্যে কথাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মল্লিক বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে এলোপাথাড়ি লাঠি-সোঠা নিয়ে নিমন্ত্রিত অতিথিদের উপর মারপিট করে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহিদ মল্লিক গ্রুপ ও আলমগীর হাওলাদার গ্রুপ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংর্ঘষে লিপ্ত হয় ।

এ সময় উভয় গ্রুপের আলমগীর হাওলাদার, আলম হাওলাদার (৪৫) নান্নু হাওলাদার (৪৫) কালু মল্লিক (২৮), কুসুম মল্লিক (৩৯), সেকান (৫৫) আহত হয়।

আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর মধ্যে আলমগীর হাওলাদারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর শেষে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সারে ১১টার দিকে একই গ্রামের বদরউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হাওলাদার মারা যায়।

এ ব্যাপারে শিবচর থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত একজন নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, মল্লিক বাড়ির মো. সাহাবুদ্দিন মল্লিক মো. কুসুম মল্লিকসহ তার সমর্থকরা ছেনদা, রামদা, লোহার রড লাঠি সোঠা নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে। আলমগীর হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছেনদা দিয়ে মাথার উপরে কোপ দেয়। এতে তার বাম হাত দিয়ে ঠেকালে ঐ কোপ বাম হাতের কেনি আঙ্গুলে লেগে আঙ্গুলটি কেটে যায় এবং মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে শিবচর থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতার করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএসএ/এস/জানুয়ারি২৩,২০১৬)