নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার শালুকা গ্রামের আব্বাস আলী সাখিদারের ছেলে উজ্জল হোসেন হত্যা ঘটনার ২ বছর পর অবশেষে আদালতে মামলা করেছেন তার অসহায় পিতা।

নওগাঁ ৯ নং আমলী আদালতে ৩০২/৩৪ ধারায় দায়ের করা মামলায় আসামী করা হয়েছে ৩ জনকে। মামলায় পুত্র উজ্জলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মামলার বাদী আব্বাস আলী দাবি করেছেন। মামলা নং ১ মিস/১৬। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আত্রাই থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আব্বাস আলী সাখিদাদের পুত্র উজ্জল হোসেন বিগত ২০১৩ সালে আত্রাই উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামের বয়েন মৌলভীর পুত্র মোঃ জিরোর ট্রাক্ট্রর চালানোর কাজ করতো। সে সময় উজ্জল জিরোর শ্বশুর মোঃ খাদেম আলীর তত্বাবধানে থেকে তার ঢাকার বাসায় থাকতো। উত্ক খাদেম আলীর গ্রামের বাড়ি আত্রাই উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামে। এরই একপর্যায় আত্রাইয়ের শুটকিগাছা গ্রামের জনৈক রেজাউল হক রেজার একমাত্র কন্যা রেশমা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্ক রেশমার পিতা মেনে নেয়নি। ফলে রেশমা উজ্জলকে বিয়ে করার জন্য পিতার ঘর ছাড়ে। উজ্জল তখন রেশমাকে নিয়ে তার ভগ্নিপতি নওগাঁ সদরের কুমুরিয়া গ্রামের হেলাল হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু হেলাল হোসেন এসব ঝুটঝামেলা এড়াতে রেশমাকে তার পিতার কাছে ফিরিয়ে দেয়। পরে রেশমা উজ্জল ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় রেশমার পিতা রেজাউল উজ্জলকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে।

২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাতে উজ্জল ট্রাক্ট্রর মালিক জিরোর শ্বশুর খাদেম আলীর বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল। এমতাবস্থায় ঘরের খোলা জানালা দিয়ে বল্লম জাতীয় অস্ত্র দিয়ে তার পেটে আঘাত করা হয়। রাতেই তাকে নওগাঁ হাসপাতালে ভার্ত করা হয়। পরবর্তীতে তাকে রাজশাহী জমজম ইসলামী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৬ ডিসেম্বর/১৩ তার র্মত্যু ঘটে। এর পর থেকে উজ্জলের পিতা নানাভাবে বিভিন্ন স্থানে বিচার চেয়ে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। অবশেষে ১৮জানুয়ারি/১৬ তিনি নওগাঁ আদালতে পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

(বিএম/এস/জানুয়ারি২৪,২০১৬)