বান্দরবান প্রতিনিধি : মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি‘র গুলিতে নিহত বিজিবি’র নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের লাশ হস্তান্তর করেছে। আজ শনিবার বিকেল ৫টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়। মায়ানমারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়ার পর নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বিকেল সোয়া ৫টায় নিহত বিজিবি’র নায়েক সুবেদার মিজানের লাশ হস্তান্তর করে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি।

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কাল রাত হতে এ পর্যন্ত কোন ধরনের গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাড়তি শর্তকতায় সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত বিওপি পোষ্ট গুলোতে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন রাখা হয়েছে।
গত বুধবার সকালে মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের ৫২ নং পিলার এলাকায় বিজিবি’র নিয়মিত টহল চলাকালে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশের বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করে। এতে মিজানুর রহমান নামে বিজিবি’র এক নায়েক সুবেদার গুলিবিদ্ধ হয়। গুলির তোপের মুখে বিজিবি’র অন্যান্য সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেলেও নায়েক সুবেদার মিজান গুরুতর আহত হয়। পরে মায়ানমার সীমান্তরক্ষীরা গুরুতর আহত মিজানকে মায়ানমার নিয়ে যায়। ফলে সীমান্ত উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার ২দিন পর শুক্রবার মিজানের লাশ ফেরত দেয়ার সংবাদ পায় বিজিবি। শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪ টায় সাদা পতাকা নিয়ে শান্তিপুর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে মিজানের লাশ ফেরত আনতে দোছড়ি ইউনিয়নের পানছড়ির ৫২ নং পিলারের কাছে অবস্থান নেয় বিজিবি। লাশ হস্তান্তরের স্থান পরিবর্তনের কথা শুনে বিজিবিও ৫২ নং পিলার থেকে সরে ৫৫ নং পিলারের কাছে অবস্থান নেয়। এ সময় মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি বিজিবি’র সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা শুলি চালায়। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা গোলালির পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শাহেদুল ইসলাম।
(এএফবি/এএস/মে ৩১, ২০১৪)