নওগাঁ প্রতিনিধি : জেলার আত্রাই উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করায় ওই নারী ভাইস চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা প্রকৗশলী মোবারক আলী। উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে এডিবির কাজে অনিয়ম, টেন্ডারে ঘাপলা, সিডিউল কিনতে এবং ড্রপিংয়ে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনার অবতারণা ঘটে বলে নারী ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম জানান।

অপরদিকে জেলার মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য বিজলী বেগম জুতাপেটা করেছেন ওই ইউপি সচিব ইনতাজুল ইসলামকে। অশালীন মন্তব্য করায় সচিবের কক্ষে ওই নারী সদস্যের হাতে তিনি এ লাঞ্ছনার শিকার হন। পৃথক এই দু’টি ঘটনাই ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যার আগে। ঘটনায় ওই দু’টি এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

আত্রাই উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম জানান, উপরোক্ত বিষয় নিয়ে ঘটনার সময় প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে গেলে সেখানে উপস্থিত লোকজনের সম্মুখে প্রকৌশলী মোবারক হোসেন তার সঙ্গে অশোভনীয় আচরণ করে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি প্রকৌশলীকে পাল্টা চড়-থাপ্পড় মারতে বাধ্য হন। তবে প্রকৌশলী মোবারক হোসেন চড়-থাপ্পড়ের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মমতাজ বেগম তার কাছে এডিবির কাজসহ অন্যায়ভাবে সুযোগ-সুবিধা দাবি করছিলেন। এতে উভয়ের মাঝে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। অপরদিকে ওইদিন সন্ধ্যার আগে অফিস চলাকালিন সময় মান্দার ভালাইন ইউপির সচিব ইনতাজুল ইসলামের নানা অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদসহ পরিষদের অভ্যন্তরীণ বিষয়সহ জন্মসনদ প্রদানে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নারী সদস্য বিজলী বেগম। এক পর্যায়ে বিজলী বেগমের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন সচিব ইনতাজুল ইসলাম। তিনি রাগান্বিত হয়ে ওই নারী সদস্যকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি জুতা দিয়ে সচিব ইনতাজুলকে মারপিট করেন। এসময় উপস্থিত লোকজনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরিষদের কক্ষে এ ধরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। উভয়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

(বিএম/পি/জানুয়ারি ২৮, ২০১৬)