পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : পীরগঞ্জে বিয়ে-সংসার কিছুই হয়নি। অথচ যৌতুকের মামলার একমাত্র আসামী হলো এক যুবক। অন্য ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার আর মেয়ে পক্ষের কারসাজিতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফমৌজা গ্রামে ঘটনায় এলাকাবাসীও হতবাক হয়েছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী জানা সূত্রে গেছে, উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের বাবু মিয়ার পুত্র আরিফুল ইসলাম (২২) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করছে। প্রায় ৬ মাস ধরে সে বাড়ীতেও আসেনি। ওই গ্রামেরই রফিকুল ইসলাম তার কন্যা রুপা খাতুনের সাথে আরিফুলের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এতে আরিফুলের পরিবার অসম্মতি জানায়।

একপর্যায়ে গত ২৯ অক্টোবর রুপার পরিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রারের সাথে যোগসাজস করে অন্য এক যুবককে আরিফুল সাজিয়ে (নাম) বিয়ে সম্পন্ন করে। এরপর আরিফুলের বাড়িতে রুপাকে ঘর-সংসারও দেখিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর যৌতুকের দাবীতে রুপাকে মারপিট দেখানো হয়েছে। তারপরে ২২ ডিসেম্বর রংপুর আদালতে আরিফুল কে একমাত্র আসামী করে মামলা করেে রুপা। যার নং- মিছ পিটিশন ১৬১/১৫। আদালত মামলাটি তদন্তে রংপুরের পিবিআই এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে নির্দেশ দিয়েছে।

এ ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার মাসুদার রহমান বলেন- রুপার সাথে যার বিয়ে রেজিষ্ট্রি করেছি। সে ছেলেটি লম্বা এবং কালো রংয়ের। অপরদিকে আরিফুলেরর বাবা বলেন- আমার ছেলে গত ৬ মাসেও বাড়িতে আসেনি। সে সুন্দর আর ফর্সা বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে।

তিনি আরও বলেন- বিয়ে মেনে না নিলে মেয়ের পরিবার আমাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। টুকুরিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিষ্ট্রার খলিলুর রহমান বলেন- আমি যতদূর জানি বিয়েটা হয়নি। এলাকাবাসীও তাই জানে। কিন্তু কিভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রি, আর মামলা হলো বুঝতে পারছি না। থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন- এ ধরনের কোন মামলা আমার কাছে আসেনি।

(জিকেবি/এএস/জানুয়ারি ২৮, ২০১৬)