সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার জনস্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন গ্রামের বসতবাড়িতে প্রায় ৬ হাজার টিউবওয়েলের পানি আর্সেনিকযুক্ত। যা ১৩ বছরেও আর্সেনিকমুক্ত হয়নি। এ ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। ফলে ওই আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ।

এতে জীবনের ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি শারীরিক নানা রোগেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া এক তথ্য মতে ২০০১ সালে ন্যাশনাল স্পিনিং প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা এনজিও সংস্থার একটি টিম উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের গ্রাম ওয়াইজের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার টিউবওয়েলের পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করে। এতে মোট ৫ হাজার ৭৩৩টি টিউবওয়েল আর্সেনিকযুক্ত ঘোষণা করে লাল রং লাগিয়ে দেয়। কিন্তু ১৩ বছর অতিবাহিত হলেও উপজেলার ওই সকল টিউবওয়েলগুলোর পানি আর্সেনিকমুক্ত হয়নি। তবে ওই টিউবওয়েলের পানিতে এখন আর্সেনিক আছে কিনা তাও সঠিক করে বলা সম্ভব না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতিদিন অনেক চর্মজনিত রোগী আসে। তবে ওই সকল রোগীর বাড়িতে কী ধরনের টিউবওয়েল আছে তা কেউ কখনও জানায়নি। ওই ধরনের রোগের কারণ যে পানিজনিত সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানান তিনি।

অপরদিকে জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ জানান, ১৩ বছর আগে উপজেলার টিউবওয়েলগুলোর পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষা তথ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিকারের জন্য সরকারিভাবে কোনো দিক নির্দেশনা না থাকায় ওই পানিই ব্যবহার করা হচ্ছে।

জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী তাবিবুর রহমান জানান, যেহেতু দীর্ঘদিন আগে টিউবওয়েলগুলো সার্ভে করা হয়েছিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ বলেই চিহ্নিত। সেহেতু ওই সকল নলকূপের পানি ব্যবহার ও পান না করাই ভালো।

তার মতে, দীর্ঘদিনের জরিপের ব্যবধানে ওই সকল টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক কমেনি বরং বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনাই বেশি। তিনি এ বিষয়ে টিউবওয়েল (নলকূপ) ব্যবহারকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।

(ওএস/এইচআর/জুন ০১, ২০১৪)