আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা : মাত্র ছয় দিনে হিমালয়ের তিনটি শৃঙ্গ জয় করে ফের ইতিহাস গড়লেন অরুণাচলের মেয়ে আনসু জামসেনপা৷ মারণ তুষারধসের আশঙ্কা সহ যাবতীয় বাধাবিপত্তিকে স্রেফ মনের জোরে টপকে গত ১৩ থেকে ১৮ মে -র মধ্যে লবুচে (উচ্চতা - ২০ ,০৭৫ ফুট), পোখালদে (১৯৩৪৩ ফুট) এবং আইল্যান্ড পিক (২০ ,৩০৫ ফুট) শৃঙ্গ তিনটিতে পা রেখেছেন তিনি৷ অসামান্য এই কৃতিত্বের জন্য নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও অসামরিক উড়ান সংক্রান্ত মন্ত্রক গত ২৭ মে কাঠমান্ডুর সিংহ দরবারে বছর আঠাশের আনসুকে সম্বর্ধনা জানায়৷

যে আন্তর্জাতিক পর্বতারোহী দলের সঙ্গে আনসু এ বার অভিযানে বেরিয়েছিলেন , তার অধিকাংশ সদস্যই প্রথম শৃঙ্গটি জয় করেই ফিরে আসেন৷ কারণ সেই সময়েই ওই এলাকাতেই তুষারধসের কবলে পড়ে ১৬ জন শেরপার মৃত্যু হয়৷ ১৯ হাজার ফুট উচ্চতায় আনসুর ক্যাম্পের একটু উপরেই এই ঘটনা ঘটে৷

কিন্ত্ত এ সবে ভয় পাওয়ার মেয়ে নন তিনি৷ পরপর তিনটি বিপদসঙ্কুল গিরিপথ চো লা (১৭ ,৪৮৭ ফুট), রেনো (১৭ ,৫৮৫ ফুট) এবং কোঙ্গমা (১৮১৫২ ফুট) পেরিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছন দুই সম্তানের মা আনসু৷

কাঠমান্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের তরফেও অরুণাচলের বমডিলা এলাকার মনপা সম্প্রদায়ভুক্ত আনসুকে সম্বর্ধনা জানানো হয়৷ সেখানকার সচিব অভয় কুমার বলেন , 'আনসু ভারতের গর্ব৷

পর্বতারোহরণের ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য তরুণ -তরুণী , বিশেষ করে মহিলাদের , উত্সাহ ও প্রেরণা যোগাবে৷ 'এ বারের অভিযান সেরে ফেরার পথে অপর অভিযাত্রী ছন্দা গায়েনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছেন৷ তাঁর মতো দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার পশ্চিম শৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে তুষারধসে দু'জন শেরপা সহ ছন্দা হারিয়ে গিয়েছেন৷ আনসু শুধু বলেন , 'এই বছরে পর্বতারোহীদের জন্য সত্যিই একটা কঠিন সময় গিয়েছে৷ 'উল্লেখ্য , ইতিহাসে আনসুর আঁচড় কাটা এই প্রথম নয়৷ এর আগে দশ দিনের মধ্যে দু'বার মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর ঝুলিতে৷ সন্তানের জননী হিসেবে তিনিই প্রথম এই গৌরব অর্জন করেন৷

(ওএস/এইচ/জুন ০১, ২০১৪)