নিউজ ডেস্ক : ইন্টারনেট যেন সামনের ডেস্কটপ স্ক্রিনে, ল্যাপটপ স্কিনে বা হাতের মুঠোর মোবাইলে বাস করা অন্য এক পৃথিবী। ইন্টারনেট যদি একটা জালিকা হয়, তাহলে স্বীকার করতেই হবে- পৃথিবী এখন এই অদৃশ্য জালে ছাওয়া।

তথ্যভিত্তিক সমাজব্যবস্থাকে সাধারণত আধুনিক সমাজব্যবস্থা বলা হয়। একটি দেশের জন্য এই তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল একটি ব্যানার। এ তথ্যকে যে দেশ যত বেশি কাজে লাগাতে পারবে সে দেশই তত উন্নতি লাভ করবে।

বিশ্বখ্যাত চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল সম্প্রতি প্রতি মিনিটে ইন্টারনেটের ঘটমান তথ্য-উপাত্ত নিয়ে 'ইনফোগ্রাফি' উপস্থানের মাধ্যমে ভবিষ্যত বাণী করেছে, আগামী ২০১৫ সাল নাগাদ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। অর্থাৎ তখন প্রত্যেক মানুষের হাতেই থাকবে গড়ে দুটি করে নেটওয়ার্কযুক্ত ডিভাইস।

ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিসূচক সংশ্লিষ্ট এই ইনফোগ্রাফিতে দেখানো হয়েছে, প্রতি মিনিটেই ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘটছে মজার সব ঘটনা। প্রতি মিনিটে এর মাধ্যমে প্রবাহিত হচ্ছে ছয় লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ গিগাবাইট ডাটা। ই-মেইল পাঠানো হচ্ছে ২০ কোটি ৪০ লাখ অর্থাৎ সেকেন্ডে ৩৪ লাখ। প্রতি মিনিটে যুক্ত হচ্ছে এক হাজার ৩০০ জন নতুন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। স্মার্টফোনের কল্যাণে প্রতি মিনিটে ডাউনলোড হচ্ছে ৪৭ হাজার অ্যাপস। ফ্লিকার থেকে মিনিটে ছবি আপলোড হচ্ছে তিন হাজার, আর এই ছবি দেখছেন দুই লাখ ব্যবহারকারী। প্যান্ডোরা বক্স থেকে প্রতি মিনিটে গান শোনা হচ্ছে ৬১ হাজার ১৪১ ঘণ্টার মতো। মিনিটে ভিডিও শেয়ারিং ওয়েব ইউটিউবে ডাউনলোড হচ্ছে ৩০ ঘণ্টার বেশি। ভিডিও দেখছেন এক কোটি তিন লাখ।

বিনোদনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে নেটিজেনরা। তাই প্রতি মিনিটে ৩২০ জনেরও বেশি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলছেন মাইক্রোব্লগ টুইটারে, টুইট হচ্ছে এক লাখ। একই সময়ে পেশাজীবীদের প্লাটফর্ম লিংকডিনে অ্যাকাউন্ট খুলছেন ১০০ জনের বেশি। আর ফেসবুকে মিনিটে ৬০ লাখেরও বেশি পেজভিউ যেমন হচ্ছে, তেমনি লগইন করছেন দুই লাখ ৭৭ হাজার জন। এ যজ্ঞে পিছিয়ে নেই মুক্ত বিশ্বকোষ। প্রতি মিনিটে এখানে প্রকাশ হচ্ছে ছয়টি নতুন আর্টিকেল। আর ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে হুমকির ঘটনাও। প্রতি মিনিটে বটনেট ইনফেকশনের ঘটনা ঘটছে কমপক্ষে ১৪০টি।

(ওএস/এটিঅার/জুন ০১, ২০১৪)